ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ফ্যাসিবাদ টেকাতে সহযোগিতা এবং জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর গুলির নির্দেশের অভিযোগ

৪৪ সচিব, ৯৫ ম্যাজিস্ট্রেটের তালিকা প্রকাশ জুলাই ঐক্যের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ২০ মে ২০২৫

৪৪ সচিব, ৯৫ ম্যাজিস্ট্রেটের তালিকা প্রকাশ জুলাই ঐক্যের

৪৪ সচিব, ৯৫ ম্যাজিস্ট্রেটের তালিকা প্রকাশ জুলাই ঐক্যের

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের কার্যক্রম নিষিদ্ধের পরও দলটির দোসররা প্রশাসনে এখনো রয়েছেন বহাল তবিয়তে। গত সাড়ে ১৫ বছর বিভিন্নভাবে যেসব আমলা ও ম্যাজিস্ট্রেটরা শেখ হাসিনাকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রেখেছেন তাদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান। সেসব আমলা ও ম্যাজিস্ট্রেটদের তালিকা প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণকারী ৮০টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সংবলিত প্ল্যাটফর্ম জুলাই ঐক্য। 
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে ৪৪ জন আমলা এবং ৯৫ ম্যাজিস্ট্রেটের নাম ঘোষণা করেন জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ মুন্তাসির রহমান আলিফের বাবা গাজীউর রহমান। 
গাজিউর রহমান তালিকা প্রকাশ করে বলেন, আমার ছেলে ফ্যাসিবাদের বিলুপ্তি চেয়েছিল। চেয়েছিলাম একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, দেশ ভালো চলবে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারকে যারা ইন্ধন দিয়েছেন তারা এখনো বহাল তবিয়তে। আমরা যে মামলা করেছি তার একজন অপরাধীকেও ধরা হয়নি। না ধরলে বিচার কীভাবে হবে। উল্টো আমাদের হুমকি দিচ্ছে। যারা হত্যা করেছে তারাই আবার এ ঘটনার তদন্ত করছে। তাহলে কীভাবে সত্য উদ্ঘাটিত হবে? কীভাবেই বিচার হবে? আমরা জানি এখনো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে তারা বহাল রয়েছেন। 
জুলাই ঐক্যের সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ ৯৫ জন ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে আটজনের নাম প্রকাশ করেন। যাদের নেতৃত্বে ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গুলি চালিয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়। 
জুলাই ঐক্যের সংগঠক প্লাবন তারিক বলেন, আওয়ামী লীগের সময় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন এসব সচিবরা। আওয়ামী লীগ সরকার সুযোগ দিয়ে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়েছে। একজন সচিব এক সময় সাতক্ষীরার ডিসি ছিলেন, তার নির্দেশে অনেক মানুষের বাড়িঘর ভাঙা হয়। তিনি আওয়ামী লীগের কট্টর সমর্থক। কিন্তু তিনি এনো বহাল তবিয়তে আছেন।
জুলাই ঐক্যের সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী বলেন, আমরা আজকে যে তালিকা প্রকাশ করছি এটি মূল তালিকার অংশ বিশেষ। আমরা দেখতে চাই সরকার এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় কি না। আমাদের কাছে প্রত্যেক সচিব এবং ম্যাজিস্ট্রেটদের করা প্রতিটি অপকর্মের তথ্য রয়েছে। সরকার যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে আমরা সকল তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ করব।

আমরা কোনোভাবেই চাই না মব তৈরি হোক। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই তালিকা পোঁছাব। আশা করছি আমাদের এই যৌক্তিক দাবিগুলো তিনি মেনে নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বৈরাচারের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে শহীদের রক্তের সম্মান দেবেন। 
লিখিত বক্তব্যে জুলাই ঐক্যের সংগঠক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, আপনারা সকলেই জানেন, গত ১০ মে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন স্থগিত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিকে সামনে রেখে গত ৬ মে ৩৫টি সামাজিক ও রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়ে জুলাই ঐক্যের আত্মপ্রকাশ হয়। বর্তমান ৮০টি সংগঠন জুলাই ঐক্যের শক্তি।

আমাদের আত্মপ্রকাশের পর থেকে আওয়ামী নিষিদ্ধের দাবিতে কয়েকটি কর্মসূচি পালন করে জুলাই ঐক্য। সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম যেভাবে নিষিদ্ধ করেছে তা আমরা পুরোপুরি গ্রহণ করেনি। তারপর সরকারকে আমরা এই উদ্যোগের জন্য স্বাগত জানিয়েছি। 
তিনি বলেন, সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে যে গেজেট প্রকাশ করেছে সে অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম এবং ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।  গেজেট অনুযায়ী ১৪ দলের শরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। জুলাই আগস্টে শুধু নয় গত সাড়ে ১৫ বছর সচিবালয়ের আমলা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা যেভাবে শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করেছিলেন তারা এখনও সচিবালয়সহ বিভিন্ন স্থান নিয়ন্ত্রণ করছেন। 
মুসাদ্দেক বলেন, ২ হাজার প্রাণ ও ৩১ হাজার আহত ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার পেলেও আমাদের ব্যর্থতা বিপ্লবী সরকার গঠন করতে না পারা। যে সুযোগটি নিয়েছে আওয়ামী লীগের দোসররা। দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন সহযোগিতা করছে কিছু আমলা ও প্রশাসনে থাকা কর্মকর্তারা।

আমরা দেখেছি একদিন আগেও ঢাকার একাধিক স্থানে মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রশাসন যদি সরব থাকত তাহলে তারা এই মিছিল করতে সাহস পেত না। এখনো আওয়ামী লীগের অনেক এমপি-মন্ত্রী দেশে আছেন। সরকারের সেই আমলারাই তাদের সেফ এক্সিট দিচ্ছেন। সর্বশেষ সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তার প্রমাণ। 
তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক ধৈর্য ধারণ করেছি। আমরা দেখছি জুলাইয়ের শক্তিগুলোকে কীভাবে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে। আমরা জুলাই ধারণ করে এখন পর্যন্ত বেঁচে আছি। আমাদের বেঁচে থাকার একটাই উদ্দেশ্য জুলাইকে বাঁচিয়ে রাখা। জুলাই না বাঁচলে আমরাও বাঁচব না। এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই জুলাইয়ের শক্তিদের নিয়ে আমাদের জুলাই ঐক্য।

আমরা আজকে সচিবালয়সহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এবং জুলাই আগস্টের আন্দোলনের সময় যে সব ম্যাজিস্ট্রেট ছাত্র জনতার বুকে গুলি করেছে রক্তাক্ত করেছে আমার জন্মভূমি। আমরা তাদের আংশিক তালিকা প্রকাশ করেছি। এটা প্রাথমিক তালিকা। আমরা খুব শীঘ্রই আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল সেক্টরে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের তালিকা প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছি। 
মুসাদ্দেক বলেন, আমরা শুধু সরকারি আমলাদের বিষয় নিয়েই থেমে যাব না। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কালচারাল ফ্যাসিস্ট, শিক্ষাঙ্গন, চিকিৎসাঙ্গন, আইনাঙ্গন এবং গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সেক্টরে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের তালিকা প্রকাশ। 
সংবাদ সম্মেলনে জুলাই ঐক্যের সংগঠক এবি জুবায়ের সরকারের কাছে সাত দফা দাবি পেশ করেন এবং কর্মসূচি ঘোষণা করেন। 
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১। আগামী ৩১ মে এর মধ্যে তালিকায় উল্লিখিত সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগের সকল দোসরকে বাধ্যতামূলক অবসর দিতে হবে।
২। তিন সরকারি কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে দৃশ্যমান কাজের অগ্রগতি জনগণকে দেখাতে হবে। ৩। দেশের তথ্য পাচারকারী ছাত্রজনতার বুকে গুলি চালানো, নির্দেশকারী এবং সহযোগিতাকারী সকল আমলা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পরিবারসহ সকলের ব্যাংক হিসাব ও অবৈধ সম্পদ জব্দ করতে হবে।
৪। স্বৈরাচারের দোসর আমলা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫।  আগামী ৩৬ শে জুলাইয়ের (৫ আগস্ট) মধ্যে এখন পর্যন্ত চিহ্নিত সকল স্বৈরাচারের দোসরকে শ্বেতপত্র সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
৬। আইনের ১৩২ ধারার কারণে থানায় খুনি পুলিশদের নামে মামলা নেওয়া হয় না। আগামী ৩১ মে ২০২৫ খ্রি. মধ্যে এই ধারা বাতিল অথবা সংশোধন করতে হবে।  ৭। আগামী ৩১ মে এর মধ্যে সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তারা এখন কোথায় আছে এবং কত জন কার সহযোগিতায় দেশ ছেড়েছেন তাদের তালিকাও প্রকাশ করতে হবে। 
জুবায়ের বলেন, আগামী ৩১ মে এর মধ্যে সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের তালিকা প্রকাশ, সচিবালয় ও প্রশাসন স্বৈরাচারের দোসর মুক্ত এবং ১৩২ ধারা বাতিল বা সংশোধন না করলে। আগামী ৩১ মে এর পর ছাত্রজনতা এবং জুলাইয়ের স্পিরিট ধারণকারী সকল সংগঠনকে নিয়ে মার্চ টু সচিবালয়সহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। 
প্রকাশিত ৪৪ সচিবের তালিকায় রয়েছেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল হাসান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহানা আহমেদ, আলোচিত সমালোচিত কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়া, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইব্রাহিম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, ডাক ও টেলিযোগ বিভাগের মো. মুশফিকুর রহমান, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. আব্দুর রহমান খান, অর্থ সচিব ড. মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. রুহুল আমিন, দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়ম করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আমিন উল্লাহ আহসান, বিপিএটিসি রেক্টর সাইদ মাহবুব খান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সায়েদুর রহমান, জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন অ্যাকাডেমির রেক্টর ড. মো. শহিদুল্লাহ, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন অ্যাকাডেমির রেক্টর ড. মো.ওমর ফারুক, শ্রম সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান নাসরিন আফরোজ, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।
এছাড়াও রয়েছেন, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মুসলিম চৌধুরী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আশরাফ উদ্দীন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইশরাত চৌধুরী, বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক শরিফা খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সংস্কার ও সময়ন্বয়) জাহেদা পারভীন, ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের চৌধুরী, প্লানিং কমিশনের সচিব এ এম আকমল হোসেন আজাদ, প্লানিং কমিশনের সদস্য ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক সুকেশ কুমার সরকার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মমতাজ আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার সংযুক্ত সচিব মোহাম্মদ মাহমুদুল হোসাইন খান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মুহম্মদ সাইফুজ্জামান, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান ডক্টর লিপিকা ভদ্র, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইন্সটিটিউট এর মহাপরিচালক মো. আব্দুল কাইয়ুম, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফ্ফর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান, জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিউটএর মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ বশিরুল আলম, ইকোনমিক মিনিস্টার ওয়াশিংটন ডিসিতে কর্মরত মেহেদী হাসান, বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক কাজী এনামুল হাসান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান। সচিব ও সচিব পদমর্যাদায় থাকা প্রশাসনের এই ৪৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন  স্বৈরাচারী কর্মকা-ের সহায়তা করা, কারো বিরুদ্ধে কট্টর আওয়ামী মনোভাবসহ বিভিন্ন সুবিধাভোগের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। 
জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় বিভিন্ন স্থানে থেকে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে ৯৫ ম্যাজিস্ট্রেটের তালিকার মধ্যে যাদের নাম রয়েছে, তারা হলেন- ঢাকা জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার উজ্জল কুমার হালদার, ঢাকা জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর অমিত কুমার সাহা, ঢাকা জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার শামসুজ্জাহান কনক, ঢাকা জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার সোনিয়া হোসেন জিসান, ঢাকা জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার আফরিন জাহান, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার শরিফ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার অংমাচিং মারমা, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার সায়েম ইমরান, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার সাদিয়া আক্তার, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান রাসেল, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাকির হোসেন, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাইখা সুলতানা।

×