
উড্ডয়নের পর টার্কিশ ফ্লাইটে পাখির ধাক্কা
ঢাকা থেকে ইস্তাম্বুলগামী টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের একটু পর এর একটি ইঞ্জিনে ধোঁয়া দেখা যায়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি টের পেয়ে পাইলট জরুরি অবতরণ করান। প্লেনে পাঁচ শিশুসহ ২৯১ আরোহী ছিলেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পাখির আঘাতে ফ্লাইটের ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ধোঁয়া দেখা যায়। যাত্রীরা সবাই নিরাপদে আছেন। আটকে পড়া যাত্রীদের আজ বুধবার অন্য একটি ফ্লাইটে তুরস্কে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ জানান, টার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে-৭১৩ ফ্লাইটটি (এয়ারবাস এ ৩৩০-৩০৩) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকাল ৭টার দিকে ২৯১ আরোহী নিয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে রওনা দেয়। উড্ডয়নের ১৫ মিনিটের মাথায় পাইলট প্লেনের একটি ইঞ্জিনে স্পার্ক দেখতে পান। পাইলট প্লেনটি দ্রুত অবতরণ করানোর সিদ্ধান্ত নেন। এ অবস্থায় আকাশে চক্কর দিয়ে তেল পুড়িয়ে সোয়া ৮টায় জরুরি অবতরণ করেন পাইলট।
এসএম রাগীব সামাদ বলেন, পাখির আঘাতে ফ্লাইটের ডান পাশের ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে যাত্রী নিয়ে ফ্লাইটটি গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা না করে বিমানবন্দরে ফিরে আসে। তবে ফ্লাইটের যাত্রী ও ক্রুরা সবাই নিরাপদে আছেন।
এ বিষয়ে এক বক্তব্যে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টিকে-৭১৩ ফ্লাইটের ইঞ্জিন-২-এ অপ্রত্যাশিত পাখির ধাক্কার ঘটনায় ঢাকা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। ফ্লাইটের সব যাত্রী, ক্রু নিরাপদে আছেন। যেহেতু এটি মেরামতের প্রয়োজন, তাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগবে।
যাত্রীদের আরাম ও বিশ্রামের জন্য নিকটবর্তী হোটেলগুলোতে রাাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই প্লেনে ১৯ জন ছিলেন বিজনেস শ্রেণির যাত্রী, ২৫৬ জন ছিলেন ইকোনমিক শ্রেণির যাত্রী, শিশু ছিল পাঁচজন। আর ১১ জন ছিলেন ক্রু।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের চাকা (বাম পাশের ল্যান্ডিং গিয়ার) খুলে নিচে পড়ে যায়। তবে ফ্লাইটটি পাইলটের দক্ষতায় নিরাপদে অবতরণে সক্ষম হয়। ফ্লাইটে শিশুসহ মোট ৭জন যাত্রী ছিল।