
ছবিঃ সংগৃহীত
পেহেলগামের সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর যুদ্ধবিরতির মাঝেও পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সামরিক উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে। দু'দেশের মধ্যকার সংঘাত এখনও পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। এই প্রেক্ষাপটেই ভারত থেকে গোটা পাকিস্তানে হামলা চালানো সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুমের ইভান ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর প্রেক্ষাপটে বলেন, ভারত গোটা পাকিস্তান জুড়ে আঘাত হানার সক্ষমতা রাখে। ১৯ মে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “গোটা পাকিস্তানই আমাদের রেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। যদি পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের জেনারেল হেডকোয়ার্টার রাওয়ালপিন্ডি থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ার মতো দুর্গম এলাকাতেও সরিয়ে নেয়, তবুও তাদের পালাতে গভীর গর্ত খুঁজতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “অপারেশন সিন্দুর চলাকালে আমাদের সব হামলা ছিল নিখুঁত ও সফল। পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি, যেখানে কেবল হালকা অস্ত্র ব্যবহার করা হলেও তা যথেষ্ট কার্যকর ছিল।”
লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুমের ইভান ডি কুনহা আরও জানান, ভারতের কাছে এমন আধুনিক অস্ত্রভাণ্ডার রয়েছে, যার সাহায্যে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে গভীর এলাকাতেও আঘাত হানা সম্ভব। তিনি বলেন, “আমরা প্রশস্ত কিংবা সংকীর্ণ—সব পথেই প্রস্তুত। সীমান্তেই দাঁড়িয়ে থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হলো দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বে ‘অসাধারণ’ ভূমিকা রাখায় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে পদোন্নতি দিয়ে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়েছে। এটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ সামরিক র্যাংক। ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই এ পদোন্নতি পান তিনি।
এদিকে, পাকিস্তান সেনাপ্রধান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “পাকিস্তান শান্তি চায়, তবে দেশের সম্মান রক্ষায় প্রয়োজন হলে পাল্টা হামলা চালাতে আমরা দ্বিধা করব না।”
অপরদিকে ভারত জানিয়েছে, “অপারেশন সিন্দুর এখনও শেষ হয়নি। যদি পাকিস্তান উসকানি দেয়, তাহলে আবারও হামলার প্রস্তুতি রয়েছে।”
ইমরান