
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খিদিরপুর গ্রামের চৌধুরী বাড়ির বাসিন্দা জসিম মিয়া (৪০) এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। পরিবারের দাবি, অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে এখন তাকে শিকলবন্দী করে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন তার মা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলেই জসিমের এমন অবস্থা হয়েছে। এক সময় কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও ধীরে ধীরে তার আচরণ হয়ে পড়ে অস্বাভাবিক। কখনো চুপচাপ, আবার হঠাৎ করে চিৎকার-চেঁচামেচি বা আক্রমণাত্মক আচরণ করেন তিনি।
জসিমের প্রথম স্ত্রী রুমা বিয়ের দুই বছরের মাথায় স্ট্রোক করে মারা যান। পরে তিনি বিয়ে করেন কসবার রাটখলা গ্রামের আকলিমা বেগমকে। তাদের দুই সন্তান সিয়াম (১২) ও নিঝুম (১০) নানা বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছে। স্ত্রী-সন্তান আলাদা থাকেন। মা আলেয়া বেগম একাই সামলাচ্ছেন মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে।
জসিমকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, চিকিৎসা করাবো কই, টাকা কই? এখন বাধ্য হয়ে শিকল দিয়ে রাখি, যাতে কাউরে ক্ষতি না করে।
এ বিষয়ে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন,দেশে এখন অনেক আধুনিক মাদক নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু জসিমের পরিবার কখনো আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তারা চাইলে আমরা অবশ্যই সহায়তা করব।
নোভা