
ছবি : সংগৃহীত
কোভিড-১৯ টিকা প্রাপ্তির নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)। মঙ্গলবার ঘোষিত এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে শুধুমাত্র ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সীদের কিংবা গুরুতর সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদেরই কোভিড টিকা দেওয়া হবে।নতুন এই নীতির মাধ্যমে করোনাভাইরাসের জন্য বার্ষিক টিকাদান কার্যক্রমকে আরও সুনির্দিষ্ট ও সহজ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে এফডিএ।
তবে এর ফলে এখনও ১০০ মিলিয়ন থেকে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিক টিকা পাওয়ার যোগ্য থাকবেন—যারা বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে মারাত্মক কোভিড সংক্রমণের শিকার হতে পারেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এমন কয়েক ডজন অবস্থার তালিকা করেছে যা মানুষকে উচ্চ ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। ৬ মাসের বেশি বয়সী প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আমেরিকানের অন্তত একটি রোগ রয়েছে।
এফডিএ কমিশনার মার্টি মাকারি এবং নতুন টিকা বিভাগ প্রধান ড. বিনয় প্রসাদ নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে লেখেন, "এক মাপে সবার জন্য" (one-size-fits-all) ভ্যাকসিন নীতি আর কার্যকর নয়। তারা বলেন, নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে টিকা হালনাগাদ করার আগে এর উপযোগিতা নিয়ে বিস্তৃত ও নিয়ন্ত্রিত গবেষণা প্রয়োজন—যা পূর্বে শুধু মূল সূত্রে কিছু পরিবর্তন এনে করা হতো।
যদিও নতুন সিদ্ধান্তটি যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, এফডিএর একটি প্যানেল বৃহস্পতিবার বসছে কোভিড টিকাকে বর্তমান সংক্রমণকারী ভ্যারিয়েন্টের সাথে মানিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে। একইভাবে, সিডিসি-র পরামর্শক কমিটি আগামী মাসে ঠিক করবে কারা টিকা পাবেন।
তবে এ সিদ্ধান্তে বিরোধিতা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শিশু হাসপাতাল, ফিলাডেলফিয়ার টিকা বিশেষজ্ঞ ড. পল অফিট। তিনি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, “এই পদক্ষেপের ফলে টিকা বিমা কাভারেজের বাইরে চলে যেতে পারে এবং সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে।”
নতুন কাঠামোটি কোভিড টিকাদানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের নীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় আনলো, যা ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য নীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
সা/ই