
ছবিঃ সংগৃহীত
১৭ বছর বয়সে ‘সর্বোচ্চ ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতা’! এলন মাস্কের ১৯৮৯ সালের অ্যাপটিটিউড টেস্টের ফলাফল প্রকাশ্যে
টেসলা ইনকর্পোরেশনের সিইও এলন মাস্কের মা, মায়ে মাস্ক, সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন ১৯৮৯ সালের একটি কম্পিউটার অ্যাপটিটিউড টেস্টের ফলাফল, যেখানে মাত্র ১৭ বছর বয়সেই মাস্কের অসাধারণ ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতা উঠে এসেছে।
৭৭ বছর বয়সী এই মডেল ও ডায়েটিশিয়ান এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লেখেন, “ছবি ঘাঁটতে ঘাঁটতে এলনের ১৭ বছর বয়সে কম্পিউটার অ্যাপটিটিউড টেস্টের ফলাফল পেলাম। আমার জিনিয়াস ছেলে। গর্বিত মা।”
উল্লেখ্য, প্রিটোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৮৯ সালের ১৭ মে তারিখে করা এক পরীক্ষায় এলন মাস্ক অপারেটিং এবং প্রোগ্রামিং– উভয় বিষয়ের আইএসএম পরীক্ষায় A+ স্কোর করেন। মাস্ক দাবি করেন, এটি ছিল ওই পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত দেখা সবচেয়ে উঁচু ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাপটিটিউড স্কোর।
তিনি নিজেই মন্তব্য করেন, “তারা বলেছিল আমি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাপটিটিউডে সর্বোচ্চ স্কোর করেছি, যা তারা আগে কখনও দেখেনি। আরেকভাবে বললে—একটি ভবিষ্যতের AI হয়তো বলত, ‘মানুষ হিসেবে খারাপ না।’”
কেন গুরুত্বপূর্ণ:
এই স্কোরগুলো মাস্কের প্রারম্ভিক প্রযুক্তিগত সক্ষমতার একটি ঝলক দেয়, যা অনেক আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল যে তিনি একদিন প্রযুক্তি বিশ্বে শীর্ষে পৌঁছাবেন। বর্তমানে স্পেসএক্স, টেসলা, ও xAI–সহ একাধিক কোম্পানির প্রধান হিসেবে এলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ৩৮১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
তবে ছেলের বিপুল সম্পদের পরও মায়ে মাস্ক জানিয়েছেন, টেক্সাসের স্পেসএক্স সাইটে ছেলের বাড়িতে গেলে তিনি সাধারণ আবাসেই রাত কাটান। তিনি বলেন, “রকেট সাইটের পাশে বিলাসবহুল বাড়ি রাখা যায় না।”
মায়ে মাস্ক এর আগেও জানিয়েছেন তাদের পরিবারের সংগ্রামের কথা—১৯৭৯ সালে বিচ্ছেদের পর কষ্ট করে সন্তানদের বড় করেছেন। তিনি জানান, “এলন একবার বলেছিল, ‘আমি সবসময় কোকো পপস চাইতাম, কিন্তু আমাদের ঘরে ছিল শুধু রেইজিন ব্র্যান।’
মুমু