
দৈনিক জনকণ্ঠ
নোয়াখালীতে দুই দফায় ২১২ মিলিমিটার টানা ভারী বৃষ্টিপাতে জেলা শহর মাইজদীতে জলাবদ্ধতা সমস্যা দেখা দিয়েছে। শহরে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকা মাস্টার পাড়া, খন্দকার পাড়া, লক্ষীনারায়পুর, হাউজিং এস্টেট, গুপ্তাঙ্গসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে আবদ্ধ হয়ে গেছে চলাচলের পথ।
বুধবার (২১মে) সকালে ভারী বৃষ্টিপাত হলেও এর আগে, মঙ্গলবার (২০ মে) সন্ধ্যায় টানা ৩ ঘণ্টার বৃষ্টিতে ১৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। বাকি বৃষ্টিপাত আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোট ২১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাইজদী আবাসিক এলাকা সড়ক, জেলখানা সড়ক, জজকোর্ট-কোর্টবিল্ডিং সংযোগ সড়ক, মাইজদী পাবলিক কলেজ সড়কসহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী, যানবাহন চালক ও পথচারীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
এছাড়া মাইজদী পৌর বাজার, মাইজদী বাজার, দত্তেরহাট, সোনাপুরসহ নোয়াখালীর পৌরসভার বিভিন্ন বাজারে জলাবদ্ধতার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন আগত ক্রেতা-বিক্রেতারা।গতকাল রাতের বৃষ্টিতে শহরের উত্তরা শপিং কমপ্লেক্সের নীচ তলার সবগুলো দোকান বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়। এতে ব্যবসায়ীদের মূল্যবান মালামাল নষ্ট হয়ে যায়।
নোয়াখালী পৌরসভার ড্রেনগুলো এবং খালগুলোতে ময়লা আবর্জনা জমে থাকার কারণে বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়ছেন নগরবাসী। তাই দ্রুত ড্রেন ও খালগুলো পরিষ্কার করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পৌরবাসী।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আজ দুপুর ১২ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলা শহর মাইজদীতে ২১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। বৃষ্টি আরও কিছু সময় অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
হ্যাপী