
ছবিঃ সংগৃহীত
চেক ডিজঅনারের মামলায় যদি কারও বিরুদ্ধে রায় হয়ে যায় এবং শাস্তি বা জরিমানা নির্ধারিত হয়, তাহলে সেই অবস্থায় আইনি রিলিফ পাওয়ার কিছু উপায় রয়েছে। ব্যারিস্টার লিমা আঞ্জুমান বলেন, এই ধরনের মামলা মূলত আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত, তাই এক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি চেকের মূল টাকার পরিমাণ ম্যানেজ করতে পারেন, তাহলে তা নিয়ে আলোচনার (negotiation) সুযোগও তৈরি হতে পারে।
তবে, যদি আদালত দণ্ড বা জরিমানা দিয়ে দেয়, তাহলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রথমে চেকের পরিমাণের ৫০% টাকা সরকারি ট্রেজারিতে জমা দিতে হবে। এরপর তিনি উচ্চতর আদালতে জামিন চাইতে পারবেন। এই জামিন চাইতে হলে তাকে অবশ্যই ক্রিমিনাল আপিল (Criminal Appeal) করতে হবে।
ব্যারিস্টার লিমা জানান, জামিনের আবেদন করলে আদালত একটি নির্দিষ্ট সময় দেয়, যার মধ্যে বাকি অর্থের ব্যবস্থা করার সুযোগ থাকে।
বর্তমানে বিচারব্যবস্থার কাঠামোয় পরিবর্তন আনা হয়েছে, যার ফলে কোন আদালতে আপিল করা হবে, তা নির্ভর করছে চেকের টাকার অঙ্কের ওপর।
- যদি চেকের পরিমাণ তুলনামূলক কম হয়, তাহলে আপিল ডিস্ট্রিক্ট জজ কোর্টে (District Judge Court) করা যাবে।
- আর যদি চেকের পরিমাণ বেশি হয়, তাহলে হাইকোর্ট ডিভিশনে (High Court Division) আপিল করতে হবে।
তবে যেখানেই আপিল করা হোক না কেন, ৫০% অর্থ সরকারি ট্রেজারিতে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
এই আইনি প্রক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে কিছুটা সময় দিতে পারেন এবং পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করে মামলার চাপ থেকে মুক্তির চেষ্টা করতে পারেন।
মারিয়া