ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২

নির্বাচন হবে ২০২৭ সালে, বিএনপি ‘ফাটা বাঁশের চিপায়’ পড়েছে: এম এ আজিজ

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ২২ জুলাই ২০২৫

নির্বাচন হবে ২০২৭ সালে, বিএনপি ‘ফাটা বাঁশের চিপায়’ পড়েছে: এম এ আজিজ

ছ‌বি: সংগৃহীত

সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ মন্তব্য করেছেন, "বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৭ সালের আগে হবে না," এবং দাবি করেন যে বিএনপি এখন একপ্রকার 'ট্র্যাপে' পড়ে গেছে।

সম্প্রতি এক আলোচনায় তিনি বলেন, লন্ডনভিত্তিক একটি বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চেয়েছেন, আর মির্জা ফখরুলও সেই কথা পুনরাবৃত্তি করেছেন। কিন্তু এখন সেই দাবিকৃত নির্বাচন থেকেও সরে এসেছে দলটি।

এম এ আজিজ বলেন, “বিএনপি এখন আমাদের পাবনার ভাষায় ‘ফাটাবাঁশের চিপায়’ পড়েছে। কিছু করার মতো অবস্থা নেই।” তিনি জানান, বিএনপি এখন এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে সামনে-পেছনে কোনো দিক খোলা নেই।

তিনি অভিযোগ করেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসও একটি 'খেলা' খেলছেন। তিনি শান্তির বার্তা দিলেও পর্দার আড়ালে নানা কৌশলে পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছেন। “ড. ইউনূস একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তি, তার জন্য বাংলাদেশের ৫৪ হাজার বর্গমাইলের কী হবে, সেটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়,” বলেন আজিজ।

তার মতে, বর্তমান সরকার মধ্য ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা না দিলে, বিএনপি আন্দোলনের হুমকি দিলেও, বাস্তবে তারা তেমন কিছু করতে পারবে না। বরং পরিস্থিতি দিন দিন বিএনপির অনুকূলে না গিয়ে আরও বিপরীত দিকে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, “বিএনপি ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে সরকারকে ভালো বলছে, এনসিপির সঙ্গে পথ ভাগাভাগির কথা বলছে, আবার জামায়াতকে পাশে রাখতে চায় না — এটা দ্বিচারিতা।”

আজিজ আরও বলেন, অনেক তরুণ এখন রাজনীতিতে আসতে চায় না, তারা সরাসরি এমপি বা মন্ত্রী হতে চায়। শিক্ষা ও রাজনৈতিক সংস্কারের অভাবে ছয়টি প্রজন্ম প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।

ড. ইউনূসকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়ে তিনি বলেন, “উনি অর্থনীতি বোঝেন, সমাজও বোঝেন। তাহলে কেন আজ পর্যন্ত বলেননি যে তরুণদের লেখাপড়া করতে হবে?” তিনি মনে করেন, রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে ঠেকাতে কিছু মহল ষড়যন্ত্র করছে, এবং ড. ইউনূস তার অংশীদার হতে পারেন।

তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন দিতে বাধ্য হবেন সরকার। দেশের চাপে, রাজনৈতিক চাপে এবং আন্তর্জাতিক বাস্তবতায় সরকার সরে আসতে পারে।”

তিনি বলেন, “সরকার যদি একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করে, যেমন ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে এবং এর আগে নির্বাচনী সংস্কার সম্পন্ন হবে — তাহলে দেশের মানুষ পরিষ্কার একটি রোডম্যাপ পাবে। এতে বিভ্রান্তি কমবে এবং রাজনৈতিক উত্তাপও প্রশমিত হবে।”

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/MhCWv6iYbJM?si=xiKQWZdE_Pp9Gmtf

এম.কে.

আরো পড়ুন  

×