ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২

চরাঞ্চলে করলার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

সুমন আহমেদ, মতলব, চাঁদপুর

প্রকাশিত: ১৫:৫৬, ২২ জুলাই ২০২৫

চরাঞ্চলে করলার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত এখলাসপুর, মোহনপুর ও জহিরাবাদ ইউনিয়নের চরাঞ্চল বোরচর, চর উমেদ ও চর কাশিম, চরওয়েস্টার যেন এখন করলার রাজ্য। চলতি মৌসুমে এখানে করলার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটেছে প্রশান্তির হাসি।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে চলছে করলা তোলার ধুম। কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্ষেতের করলা সংগ্রহ, বাছাই ও বাজারজাতকরণের কাজে। এখানকার করলা চাহিদা মেটাতে শুধু চাঁদপুর নয়, যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। সরাসরি পাইকাররা চরাঞ্চলে এসে কৃষকদের কাছ থেকে করলা কিনে নিয়ে যান। আবার অনেক কৃষক নিজেরাই স্থানীয় হাট-বাজারে গিয়ে করলা বিক্রি করে থাকেন।

করলা চাষি সিরাজ মিয়াজি, জয়নাল, সেরাজুল, তফাজ্জল হোসেন বলেন, এই বছর করলার ফলন খুব ভালো হইছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছে গাছে করলার ছড়াছড়ি। প্রতি কেজি করলা পাইকারি বাজারে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি করছি। আমরা খুশি।

আরেক কৃষক মো. রহিম মিয়া বলেন, পাঁচ বিঘা জমিতে করলা চাষ করছি। এখন পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ টাকার মতো বিক্রি করছি। আশা করি মৌসুম শেষে আরও আয় হবে।

পাইকার সোহেল মিয়া জানালেন, এই চরাঞ্চলের করলা খুব টাটকা ও সুস্বাদু হয়। আমরা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা সহ বিভিন্ন জায়গায় করলা পাঠিয়ে থাকি। চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছেন, আমরাও লাভবান হচ্ছি।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, চরাঞ্চলের উর্বর বালুমাটি ও খোলা পরিবেশ করলা চাষের জন্য দারুণ উপযোগী। কৃষকেরা অনেক কষ্ট করে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্ষেতের যত্ন নেন। আমরা চেষ্টা করছি তাঁদের পাশে থাকতে—পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে।

এই এলাকার করলা এখন শুধু জীবিকার উৎস নয়, বরং একটি সম্ভাবনাময় কৃষি অর্থনীতির প্রতিচ্ছবি। স্থানীয় কৃষক ও পাইকারদের দাবি—সরকারি সহযোগিতা ও আধুনিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা থাকলে এই করলা রপ্তানি করেও বৈদেশিক মুদ্রা আনা সম্ভব।

মিরাজ খান

×