
উত্তরায় প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের হতাহতের ঘটনায় সারা দেশে চলছে শোক ও ক্ষোভ। এই মর্মান্তিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর সালমান মুক্তাদিরও নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও রিলস শেয়ার করেন সালমান মুক্তাদির। ভিডিওবার্তায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পার্লামেন্টে যেই বসে তারই কমনসেন্স হারায়ে ফেলে, নো ম্যাটার কোন গ্রুপ, কোন পার্টি থেকে আসে ।’
সালমানের বক্তব্যের মূল প্রসঙ্গ ছিল একটি ফেসবুক পোস্ট। দুর্ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থ সহায়তা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। তবে মঙ্গলবার দুপুরে সে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়, যদিও সরিয়ে নেওয়ার কারণ স্পষ্ট করা হয়নি।
সালমান মুক্তাদির বলেন, ‘টাকাটা কি প্রবলেম ছিল? নাকি মানুষ টাকা চাইছিল? নাকি মানুষ খুবই স্পেসিফিকলি কিছু জিনিস চাইছিল? মানুষ টাকা চায়নি, মানুষ চেয়েছে জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, তাৎক্ষণিক কার্যক্রম। কিন্তু কী করা হলো? ৫০ বছরের সেই পুরোনো কথাবার্তা, তহবিল গঠন, তদন্ত কমিটি গঠন। এখনো পর্যন্ত কোনো সেমিনার পর্যন্ত করা হয়নি পুরো ঘটনা নিয়ে।’
তিনি ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, “যখন একটা বাচ্চার পুরো শরীর পুড়ে যায়, বাবা-মা বুক চাপড়ায়—ওই মুহূর্তে কি কেউ সরকারের দিকে তাকিয়ে বলে, এখন টাকা লাগবে?”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ নিজেরা আগে এগিয়ে এসেছে—উদ্ধারে, হাসপাতালে, রক্ত দিতে, যানবাহন ঠিক করতে, ফান্ড জোগাড় করতে। জনগণ সরকারের একটা ফেসবুক পোস্টের জন্য বসে ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, শুধু বিমানবাহিনী নয়, পুরো দেশ জানে—এই প্লেনগুলোর জন্য কত টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং কত টাকায় ভাঙারি প্লেন কেনা হয়েছে। কেবল সাধারণ নাগরিকরাই নন, বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারাও জানেন—বাংলাদেশে কয়টি বিমান ব্যবহারের অযোগ্য অবস্থায় পড়ে আছে, যেন ভাঙারি গাড়ির মতো মাটিতে পড়ে থাকে এবং উড়তে পারে না। আর যেগুলো উড়ে, সেগুলোর কতগুলোর ইজেকশন সিস্টেম কাজ করে না কিংবা প্রযুক্তিগতভাবে কী কী ত্রুটি রয়েছে । সবকিছু প্রত্যেকটা এয়ারফোর্স অফিসারও জানে, প্লেনের কোয়ালিটির ব্যাপারে বাংলাদেশ জানে।
তিনি আরও ক্ষোভ নিয়ে বলেন, যাদের জবাবদিহি করার ক্ষমতা আছে তারা তহবিল গঠন করছে।
সানজানা