
ছবিঃ সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে নতুন একটি বাণিজ্য চুক্তি অনুযায়ী, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি তাদের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ রপ্তানির ওপর আরোপিত সীমাবদ্ধতা শিথিল করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে শিল্প ও কৃষি পণ্য আমদানি আরও সহজ করবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
চুক্তিটি প্রথমে গত সপ্তাহে ঘোষণা করা হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার পণ্যের ওপর আরোপিত সম্ভাব্য ৩২ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১৯ শতাংশ নির্ধারণ করে।
ট্রাম্পের দাবি: “বড় বিজয়”
মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তিকে “কোম্পানিগুলোর জন্য বিশাল বিজয়” বলে আখ্যায়িত করেন। ট্রাম্প বলেন, “ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্রে তাদের মূল্যবান খনিজ সম্পদ সরবরাহ করবে এবং বোয়িং বিমানের ক্রয়সহ বিভিন্ন চুক্তি সই করবে।”
বিশেষ শর্তে বাড়তি শুল্ক
তবে যেসব পণ্য অন্য কোনো দেশে রপ্তানির শুল্ক এড়াতে "ট্রান্সশিপড" হয়েছে বলে ধরা হবে, সেগুলোর ওপর ৪০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ হবে বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।
প্রায় সম্পূর্ণ শুল্ক বাধা তুলে নেওয়ার ঘোষণা
ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে জানান, “ইন্দোনেশিয়া ৯৯ শতাংশ শুল্ক বাধা তুলে দেবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প, প্রযুক্তি এবং কৃষি পণ্যের বাজার উন্মুক্ত করবে।”
চুক্তি অনুসারে, ইন্দোনেশিয়া কপার, কোবাল্ট, নিকেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে আর কোনো বিধিনিষেধ রাখবে না। এমনকি কিছু নির্দিষ্ট পণ্যে আরও কম শুল্ক আরোপের কথাও বলা হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত হয় না।
ডেটা ট্যাক্স এবং আমদানি পরীক্ষাও বাতিল
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ইন্দোনেশিয়া ডেটা প্রবাহে করারোপের পরিকল্পনা বাদ দেবে, যা তাদের মতে, "মার্কিন কোম্পানির ওপর একটি অনৈতিক রাজস্ব সংগ্রহ প্রচেষ্টা" ছিল।
তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রি-শিপমেন্ট পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তাও বাতিল করবে ইন্দোনেশিয়া এবং মার্কিন যানবাহন নিরাপত্তা মান গ্রহণ করবে।
চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা শিগগিরই
উভয় দেশ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি চূড়ান্ত করবে বলে জানানো হয়েছে।
এই চুক্তিটি সেই ধারাবাহিকতার অংশ, যেখানে ট্রাম্প প্রশাসন আগস্ট ১ থেকে নতুন উচ্চ শুল্ক কার্যকরের আগেই একাধিক দেশের সঙ্গে চুক্তির প্রতিশ্রুতি দেয়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটেন, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের সঙ্গেও অনুরূপ চুক্তি ঘোষণা করেছে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, এই ইন্দোনেশিয়া চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কমপক্ষে ৫০ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বাজার প্রবেশাধিকার এবং ইন্দোনেশিয়ান কোম্পানিগুলোর মার্কিন পণ্য কেনার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছে।
সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস
নোভা