
ঘুমের জন্য মেলাটোনিন
অনেকেই ঘুমের সমস্যা সমাধানে মেলাটোনিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন। তবে শীর্ষ মার্কিন চিকিৎসক ও হার্ভার্ড-স্ট্যানফোর্ড প্রশিক্ষিত গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. সৌরভ সেথি জানিয়েছেন, একমাত্র মেলাটোনিন গ্রহণ করলেই ঘুমের সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হয় না।
ডা. সেথির মতে, মেলাটোনিন মূলত আমাদের দেহের ঘুম-জাগরণের সময়চক্র (sleep-wake cycle) নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিন্তু যদি আপনার ঘুমের সমস্যা হয় চিন্তা, উদ্বেগ, ফোন বা স্ক্রিন ব্যবহারের অতিরিক্ততা, অথবা অনিয়মিত রুটিনের কারণে, তাহলে শুধুমাত্র মেলাটোনিন সেগুলোর সমাধান করতে পারে না।
গবেষণায় যা পাওয়া গেছে:
এক গবেষণায় দেখা গেছে, মেলাটোনিন ঘুম আসার সময় মাত্র ৬ মিনিট কমাতে পারে, তবে ঘুমের পরিমাণ বাড়াতে পারে না।
এটি মূলত জেট ল্যাগ বা শিফটের কারণে সময়চক্র বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে কার্যকর।
উচ্চ মাত্রায় মেলাটোনিন গ্রহণ করলে উল্টো ঘুম ভেঙে যাওয়া, অস্বাভাবিক স্বপ্ন, এমনকি দিনের বেলায় ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে।
কেন কাজ নাও করতে পারে:
ভুল সময় ও মাত্রায় গ্রহণ – অনেকেই ঘুমানোর ঠিক আগে বা বেশি মাত্রায় গ্রহণ করেন।
মূল সমস্যা অনাবিষ্কৃত – যেমন উদ্বেগ, ক্যাফেইন, হরমোনজনিত অসাম্য।
সঠিক মানের ঘাটতি – বাজারের অনেক সাপ্লিমেন্টে উপযুক্ত মাত্রা বা বিশুদ্ধতা থাকে না।
ভালো ঘুমের জন্য করণীয়:
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো ও উঠার অভ্যাস।
ঘুমের আগে ফোন/স্ক্রিন পরিহার।
রাতের খাবার হালকা রাখা ও ধূমপান/ক্যাফেইন এড়িয়ে চলা।
প্রয়োজন হলে CBT-I (Cognitive Behavioral Therapy for Insomnia) চিকিৎসকের পরামর্শে গ্রহণ করা।
মেলাটোনিন একটি ঘুমের সংকেতদাতা, ঘুমের ওষুধ নয়। তাই এটি একা গ্রহণ করলেই সব সমস্যা দূর হবে এমন ভাবা ভুল। বরং ঘুমের সমস্যার স্থায়ী সমাধানে জীবনধারায় পরিবর্তন ও চিকিৎসকের পরামর্শই সবচেয়ে কার্যকর।
অনুবাদসূত্র: https://timesofindia.indiatimes.com
তাসমিম