
ছবিঃ সংগৃহীত
আমাদের চারপাশে নানা রিচার্জেবল ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, স্মার্টওয়াচ, হেডফোন, ই-বাইক ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। হয়তো আপনার শোবার ঘরের পাশে ফোন চার্জার প্লাগ ইন থাকে, যা আপনি প্রায়শই স্যুইচ অফ বা আনপ্লাগ করেন না। ডেস্কের পাশে ল্যাপটপ চার্জারও এমনই থাকতে পারে।
তবে, চার্জার নিয়মিত প্লাগ ইন রাখা কি কোনো ঝুঁকি বহন করে? আর কি কি গোপন খরচ থেকে থাকে?
চার্জারের ভিতর কী থাকে?
সব চার্জার একরকম নয়। তাদের আভ্যন্তরীন কাঠামো সহজ থেকে জটিল পর্যন্ত ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, চার্জারটি ওয়াল থেকে আসা এসি (অ্যালটারনেটিং কারেন্ট) কে ডিভাইসের জন্য প্রয়োজনীয় নিম্ন ভোল্টের ডিসি (ডাইরেক্ট কারেন্ট) তে রূপান্তর করে।
ডিসি এবং এসির মধ্যে পার্থক্য বোঝার জন্য ধরুন, ডিসি সার্কিটে ইলেকট্রন একদিকে প্রবাহিত হয়, আর এসি সার্কিটে ইলেকট্রন সামনের পিছনে চলে।
চার্জারে ট্রান্সফর্মার, রূপান্তর সার্কিট, ফিল্টারিং এলিমেন্ট ও নিয়ন্ত্রণ সার্কিট থাকে, যা এসি থেকে ডিসি রূপান্তর নিশ্চিত করে।
“ভ্যাম্পায়ার পাওয়ার” বা স্ট্যান্ডবাই পাওয়ার — কি?
বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন, চার্জার প্লাগ ইন থাকলে, যদিও ডিভাইস চার্জ না করুক, চার্জার সামান্য বিদ্যুৎ গ্রহণ করে থাকে। এটি মূলত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সার্কিট চালানোর জন্য এবং বাকি শক্তি তাপ আকারে নষ্ট হয়।
একেকটি ছোট চার্জারের জন্য এটি খুবই সামান্য হলেও, বাড়ির অনেকগুলো চার্জার মিলিয়ে বছরের শেষে মোট বিদ্যুৎ নষ্ট অনেক বেশি হতে পারে। টিভি ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসেও স্ট্যান্ডবাই পাওয়ার থাকে।
আরও কিছু ঝুঁকি
বিদ্যুৎ প্রবাহের কারণে চার্জার ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে, বিশেষ করে যখন ভোল্টেজ তার সীমার বাইরে ওঠানামা করে। বেশিরভাগ আধুনিক চার্জার এই ঝুঁকি কমাতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে, তবে সস্তা ও uncertified চার্জার আগুনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
কিভাবে চার্জারের যত্ন নিবেন?
যদিও আধুনিক চার্জার সাধারণত নিরাপদ এবং কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, তবুও সুবিধাজনক হলে চার্জার ব্যবহার না হলে আনপ্লাগ করা ভালো।
চার্জার অতিরিক্ত গরম হওয়া, শব্দ করা বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে অবিলম্বে পরিবর্তন করুন এবং এ জাতীয় চার্জার কখনোই প্লাগ ইন রেখে যাবেন না।
নোভা