
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আধুনিক জীবনযাত্রা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশ দূষণ এবং ধূমপানসহ নানা কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধ ও প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ সম্ভব।
প্রাথমিক লক্ষণগুলো জানুন:
🔹 অনিদ্রা, অস্বাভাবিক ওজন কমে যাওয়া
🔹 শরীরে অস্বাভাবিক গাঁট বা ফোলা জায়গা পাওয়া
🔹 দীর্ঘদিন ধরে কাশি বা কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন
🔹 রক্তক্ষরণ বা শরীর থেকে অস্বাভাবিক স্রাব হওয়া
🔹 খাওয়া দাওয়ার ইচ্ছা কমে যাওয়া ও বারবার বদহজম
🔹 ত্বকে রঙের পরিবর্তন বা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত
🔹 পেট বা যেকোনো অঙ্গের ক্রমাগত ব্যথা
সচেতনতার গুরুত্ব:
১. প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ: ক্যান্সার যদি প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ে, তাহলে চিকিৎসা সহজ ও সফল হয়।
২. ঝুঁকি কমানো: স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শরীরচর্চা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
৩. সঠিক তথ্য প্রচার: ক্যান্সার সম্পর্কে সঠিক তথ্য জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিলে ভুল ধারণা দূর হবে এবং মানুষ চিকিৎসা নিতে আগ্রহী হবে।
৪. সমাজে সমর্থন: ক্যান্সার আক্রান্তদের মানসিক সমর্থন প্রয়োজন। সচেতন সমাজে তারা একা অনুভব করবেন না।
৫. সরকারি উদ্যোগ: সচেতনতা বৃদ্ধি সরকারের ক্যান্সার প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, যা উদ্বেগজনক। তবে প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধ ও সময়মতো চিকিৎসা সম্ভব। জনসাধারণের সচেতনতা বাড়ানোই এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।
Mily