ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

বিমান বিধ্বস্তের আগ মুহূর্তে কন্ট্রোল রুমে যা জানিয়েছিল পাইলট তৌকির

প্রকাশিত: ১৪:৩৮, ২৩ জুলাই ২০২৫

বিমান বিধ্বস্তের আগ মুহূর্তে কন্ট্রোল রুমে যা জানিয়েছিল পাইলট তৌকির

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার কুর্মিটোলায় অবস্থিত পুরাতন বিমানঘাঁটি থেকে সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের দিকে একটি এফ-৭ যুদ্ধবিমান নিয়ে একক (সলো) ফ্লাইটে উড্ডয়ন করেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম। এটি ছিল তার পাইলট প্রশিক্ষণের চূড়ান্ত ও সবচেয়ে জটিল ধাপ—প্রথম একক উড্ডয়ন, যেখানে কোনো প্রশিক্ষক, নেভিগেটর বা সহকারী পাইলট ছাড়াই বিমান পরিচালনা করতে হয়।

বিমানটি আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তরা, দিয়াবাড়ি, বাড্ডা, হাতিরঝিল ও রামপুরা এলাকার আকাশসীমায় প্রবেশ করে। তখনই বিমানটির গতিবিধিতে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়। পাইলট তখন কন্ট্রোল রুমে বার্তা পাঠান: “বিমান ভাসছে না... মনে হচ্ছে নিচে নামছে।”

তৎক্ষণাৎ কন্ট্রোল রুম থেকে তৌকিরকে ইজেক্ট (বিমান থেকে বের হয়ে যাওয়ার) নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত বিমানটি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যান। সর্বোচ্চ গতি নিয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করতে করতেই তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যেই বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল ভবনের ওপর ভেঙে পড়ে।

পাইলট প্রশিক্ষণের সবচেয়ে কঠিন ধাপ হচ্ছে সলো ফ্লাইট, যেখানে পাইলটকে সম্পূর্ণ একা বিমান পরিচালনা করতে হয়। এটি একজন বৈমানিকের স্কিল ও মানসিক দৃঢ়তার প্রকৃত পরীক্ষা। তৌকির ইসলাম ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী পাইলট, যিনি এই চূড়ান্ত ধাপে উত্তীর্ণ হওয়ার প্রস্তুতিতেই ছিলেন।

বিমানবাহিনীর একাধিক সাবেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাধারণত প্রশিক্ষণ ফ্লাইট জনবসতিপূর্ণ অঞ্চল থেকে দূরে পরিচালিত হয়ে থাকে। তবে সলো ফ্লাইট অনেক সময় নগরাঞ্চলের আকাশেই হয়, যেহেতু এটি বাস্তব যুদ্ধ-পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা অর্জনের অংশ। এ ধরনের মিশনের জন্য শুধু দক্ষ নয়, অত্যন্ত চূড়ান্ত মানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাইলটকেই নির্বাচন করা হয়।

শিহাব

আরো পড়ুন  

×