
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী চট্টগ্রামের মাইজভান্ডার দরবার শরীফের অন্যতম আধ্যাত্মিক পুরুষ আলহাজ শাহসুফি ডা. সৈয়দ দিদারুল হক মাইজভান্ডারী (কঃ)-এর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আজ এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, “তরিকতের প্রচার ও প্রসারে তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। মাইজভান্ডারী তরিকার মূল নির্যাস—মানবকল্যাণ—তার জীবনের মূল চালিকাশক্তি ছিল। তিনি শুধু একজন আধ্যাত্মিক সাধকই নন, মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে সদা প্রস্তুত একজন মানবসেবক ছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমি তার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। আল্লাহ তায়ালা যেন তার জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করেন এবং শোকাহত পরিবার-পরিজনকে এই শোক সহ্য করার তাওফিক দেন।”
আজ বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
জানাজা নামাজ আজ বাদ এশা মাইজভান্ডার শরীফের শাহী ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
ডা. সৈয়দ দিদারুল হক মাইজভান্ডারী অলিয়ে কামেল শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (কঃ)-এর ছোট ভাই। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ। তার তিন ভাই ইতোমধ্যে ইন্তেকাল করেছেন।
উল্লেখ্য, ডা. সৈয়দ দিদারুল হক মাইজভান্ডারী ছিলেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তিনি গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন ছিলেন এবং অছিয়ে গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) কর্তৃক মনোনীত মোন্তাজেম ও জিম্মাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
তিনি ছিলেন গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ)-এর আওলাদ এবং মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে জড়িত। তরিকতের আলোচনা, মাহফিল ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাইজভান্ডারী তরিকার শিক্ষা ও আদর্শ প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
তিনি একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকও ছিলেন।
নুসরাত