
ছবি: সংগৃহীত
চুল পাকা শুধু বার্ধক্যের লক্ষণ নয়, এখন অনেক তরুণ-তরুণীর মাঝেও এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে অস্বাভাবিক হারে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, মানসিক চাপ, অপুষ্টি ও অতিরিক্ত কেমিকেলযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে অল্প বয়সেই অনেকের চুল রূপ নিচ্ছে ধূসরতায়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু অভ্যাস ও ঘরোয়া উপায় মেনে চললে এই অস্বাভাবিক পাকা চুল রোধ করা সম্ভব।
নিচে এমন ৮টি কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো—
১. সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ
চুলের কালো রং ধরে রাখতে চাইলে খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে ভিটামিন বি১২, আয়রন, কপার ও জিঙ্কযুক্ত খাবার। দুধ, ডিম, কলা, বাদাম, গাজর ও শাকসবজি নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।
২. মানসিক চাপ কমান
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ চুল পাকার অন্যতম কারণ। প্রতিদিন ১৫–২০ মিনিট মেডিটেশন, যোগব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করলে শরীর ও মন থাকবে প্রশান্ত, চুলও থাকবে তরতাজা।
৩. সাবধানে বাছুন চুলের প্রসাধনী
কেমিকেলযুক্ত হেয়ার ডাই বা শ্যাম্পুতে থাকা সালফেট চুলের প্রাকৃতিক রং নষ্ট করে দিতে পারে। হারবাল বা সালফেট-মুক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারে উপকার মিলবে।
৪. নিয়মিত প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার
নারকেল, আমলকি, কালোজিরা বা ক্যাস্টর অয়েল স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করলে চুল পাকা কমে যায়। তেল গরম করে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে রাখতে পারেন সারা রাত।
৫. আমলকি ও মেথির হেয়ার প্যাক
শুকনো আমলকি ও মেথি বেটে বা গুঁড়ো করে মিশিয়ে চুলে লাগান সপ্তাহে ২–৩ বার। এটি চুলে পুষ্টি জোগায় এবং প্রাকৃতিক কালো রং ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
৬. ধূমপান ও ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন
অতিরিক্ত ধূমপান ও ক্যাফেইন গ্রহণ শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি করে যা চুলের রং দ্রুত সাদা করে দেয়। অভ্যাসগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি।
৭. জলপাই পাতার নির্যাস ব্যবহার
জলপাই পাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চুলের কোষে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। জলপাই পাতার পেস্ট বানিয়ে স্ক্যাল্পে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
৮. ঘরোয়া রং ব্যবহারে প্রাকৃতিকতা বজায়
চুলে রং করতে হলে কেমিকেল ডাই না দিয়ে মেহেদি, ব্ল্যাক টি বা কফি ব্যবহার করুন। এতে চুলের ক্ষতি কম হয় এবং কালো রংও ফিরে আসে ধীরে ধীরে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অল্প বয়সে চুল পাকা মানেই তা রোধ করা অসম্ভব নয়। বরং নিয়মিত যত্ন, খাদ্যাভ্যাস ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দিলে ধীরে ধীরে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
Mily