
ছবিঃ সংগৃহীত
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যখন বিমান বিধ্বস্ত হয়, সেখানে অন্যান্যদের মতো গুরুতর আহত হন কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিজিবি ক্যাম্প সিকদার পাড়ার বাসিন্দা মো. জসিম উদ্দিনের কন্যা রুবাইদা নূর আলবীরা (১০)। তখন সে বুদ্ধি করে সিনিয়র ভাইকে বলেছিল, “ভাইয়া, আমাকে একটু ধরো।” তখন সেই ভাই আলবীরাকে নিয়ে বের হয়ে উত্তরার বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে কোথাও চিকিৎসা না পেয়ে সরাসরি অ্যাম্বুলেন্সে করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। পরে পিতা-মাতা ফেসবুকের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাকে শনাক্ত করেন।
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে আহত কক্সবাজারের মেয়ে রুবাইদা নূর আলবীরা শঙ্কামুক্ত বলে ঢাকার বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে তার পুড়ে যাওয়া হাতে অস্ত্রোপচার এবং মুখে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয় বলে জানিয়েছেন তার বাবা, কক্সবাজার শহরের বিজিবি ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দা ও বাজারঘাটা মদিনা স্যানিটারি অ্যান্ড হার্ডওয়্যারের মালিক জসিম উদ্দিন।
তিনি জানান, তার কন্যার শরীরের ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে, চেহারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে বলে জানিয়ে বলেন, আলবীরা এখন বিপদমুক্ত।
১০ বছর বয়সী আলবীরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন বাবা জসিম উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়।
ইমরান