
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে, যার আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়টি ২২ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি পরিশোধ করবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে। মূলত অ্যান্টি-সেমিটিজম বা ইহুদি-বিরোধী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর থেকে বন্ধ করে দেওয়া গবেষণা তহবিল পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যেই এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী তিন বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ২০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হবে। পাশাপাশি, মার্কিন ইকুয়াল এমপ্লয়মেন্ট অপারচুনিটি কমিশনের (EEOC) তদন্ত নিষ্পত্তির অংশ হিসেবে আরও ২১ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দেবে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্লেয়ার শিপম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি, যা দীর্ঘদিন ধরে চলা ফেডারেল পর্যবেক্ষণ ও অনিশ্চয়তার অবসান ঘটাবে।’
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ব্যাপক বিক্ষোভ ও আন্দোলনের ঘটনায় অ্যান্টি-সেমিটিজমের বিস্তার ঘটে বলে অভিযোগ তোলে ট্রাম্প প্রশাসন। প্রশাসনের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব ঘটনা দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে গবেষণা তহবিল বাতিল করা হয়। চুক্তির মাধ্যমে এই অর্থ পুনরুদ্ধার হচ্ছে।
শুধু অর্থদণ্ড নয়, নীতিগত পরিবর্তনেরও অঙ্গীকার
চুক্তির আওতায় কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক নীতিগত সংস্কার বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক পাঠ্যক্রম পর্যালোচনা, যাতে তা ‘বিস্তারিত ও ভারসাম্যপূর্ণ’ হয়; ইসরায়েল ও ইহুদি অধ্যয়ন ইনস্টিটিউটে নতুন শিক্ষক নিয়োগ; এবং একটি মনিটরিং টিমকে নিশ্চিত করা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে অবৈধভাবে DEI (Diversity, Equity, Inclusion) নীতিমালার প্রচার না ঘটে।
শিপম্যান বলেন, ‘এই চুক্তি আমাদের মৌলিক মূল্যবোধ রক্ষা করে এবং সরকারের সঙ্গে গবেষণা অংশীদারিত্ব আবার সচল করতে সহায়ক হবে।’
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়টি কয়েক বিলিয়ন ডলারের সরকারি সহায়তা হারানোর মুখে ছিল। তবে এই চুক্তির ফলে সেই সহায়তা ফের চালু হওয়ার পথ সুগম হয়েছে।
সূত্র: এপি।
রাকিব