
ছবি : সংগৃহীত
খেজুর—মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি শুধু শক্তি ও পুষ্টির উৎস নয়, ত্বকের যত্নেও একটি কার্যকর প্রাকৃতিক উপাদান। খেজুরে থাকা ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল, কোমল ও তারুণ্যদীপ্ত। আধুনিক গবেষণার পাশাপাশি প্রাচীন রূপচর্চা পদ্ধতিতেও খেজুর ব্যবহারের চর্চা রয়েছে।
পুষ্টিতে ভরপুর খেজুর
খেজুরে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৬, কে, ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রন, জিংক, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড ও ফেনলিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের বার্ধক্য রোধে কার্যকর। এসব উপাদান ত্বকের কোষকে করে তোলে সুস্থ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নে খেজুরের ব্যবহার:
খেজুর দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ফেসপ্যাক ও স্ক্রাবের মাধ্যমে সহজেই ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা করা যায়। নিচে তুলে ধরা হলো এমন কিছু কার্যকরী পদ্ধতি—
✅ খেজুর ফেসপ্যাক:
৩–৪টি খেজুর দুধে ভিজিয়ে রেখে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল ও কোমল।
✅ এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাব:
ভেজানো খেজুর পেস্টের সাথে মিশান চিনি ও মধু। মুখে রাউন্ড করে ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে।
✅ আই মাস্ক:
চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে খেজুর ও ঠান্ডা দুধ বেটে আই মাস্ক তৈরি করুন। ১০-১৫ মিনিট ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন।
✅ অ্যান্টি-এজিং মাস্ক:
খেজুর, অ্যালোভেরা জেল ও গোলাপজল একত্রে মিশিয়ে ফেসমাস্ক তৈরি করুন। বলিরেখা হ্রাসে এটি অত্যন্ত কার্যকর।
ডার্মাটোলজিস্টদের মতে, নিয়মিত রূপচর্চার পাশাপাশি খেজুরের এসব প্রাকৃতিক পদ্ধতি ত্বকে অতিরিক্ত কোনো কেমিক্যাল ছাড়াই স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার খেজুরের তৈরি ফেসপ্যাক বা স্ক্রাব ব্যবহার করলে মিলতে পারে চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন। তবে প্রথমবার ব্যবহারের আগে অ্যালার্জি টেস্ট করে নেওয়া উচিত।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চর্চায় খেজুর হতে পারে আপনার রূপচর্চার নতুন আস্থা। নিয়মিত ব্যবহারেই মিলবে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বক।
Mily