
সেদ্ধ ডিম
তরকারি হিসেবে খাওয়ার জন্য রান্না করা, ভাজি করে, পোচ করে কিংবা সেদ্ধ করেও ডিম খেয়ে থাকেন কেউ কেউ। ডিম উপকারী হলেও এর পুষ্টিগুণ নির্ভর করে খাওয়ার ধরনের ওপর।
ভাজা ডিম ও সেদ্ধ ডিমের উপকারিতা নিয়ে নানা ধরনের বিতর্ক রয়েছে। এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হেলথ শটস। এতে বলা হয়েছে, সেদ্ধ ডিম ভাজার তুলনায় স্বাস্থ্যকর। সেদ্ধ করতে এতে তেল, মাখন বা চর্বির প্রয়োজন হয় না। একইসঙ্গে পরিষ্কার পদ্ধতিতে হয় এটি।
সেদ্ধ ডিম:
ক্যালোরি কম: ক্যালোরি গ্রহণে যারা দৃষ্টি রাখেন, তাদের জন্য সেদ্ধ ডিম আদর্শ খাবার।
প্রোটিন সমৃদ্ধ: পেশী রক্ষণাবেক্ষণ ও সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ডিমে পর্যাপ্ত প্রোটিন রয়েছে।
ভিটামিন: ডিমে ভিটামিন বি২, বি১২, ডি এবং আয়রন ও সেলেনিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ রয়েছে।
অতিরিক্ত চর্বিমুক্ত: তেল ব্যবহার হয় না বলে চর্বিও কম থাকে।
সেদ্ধ ডিম:
হৃদরোগের ঝুঁকি:
হৃদরোগের ক্ষেত্রে সেদ্ধ ডিম উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কোন ধরনের চর্বি গ্রহণ করা হয়, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। অস্বাস্থ্যকর স্যাচুরেটেড বা ট্রান্স ফ্যাট এড়াতে অতিরিক্ত চর্বি এড়িয়ে চলতে হবে। ক্ষতিকারক চর্বির সামগ্রিক ব্যবহার কমিয়ে সেদ্ধ ডিম হৃদরোগের জন্য উপকারী।
ওজন নিয়ন্ত্রণ:
ওজনের দিকে খেয়াল রাখতে চাইলে সেদ্ধ ডিম খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন। এর উচ্চ প্রোটিন উপাদান আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখবে। এতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছা থাকবে না। বিপরীতে ভাজা ডিমে থাকা ফ্যাট একই ধরনের স্বাদ দেবে না এবং তা অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হজম উপযোগী:
সেদ্ধ ডিম পেটের জন্য সহায়ক ও আদর্শ। এতে থাকা প্রোটিন সহজে হজমযোগ্য, যা পেশীর জন্য সহায়ক ও হজমের স্বাস্থ্যে অবদান রাখে।
সূত্র: হেলথ শটস
তাসমিম