
ছবি : সংগৃহীত
চুল পড়া, রুক্ষতা বা খুশকির সমস্যায় ভুগছেন? অনেকেই জানেন না, নিয়মিত চুলে তেল ব্যবহার করলে এই সমস্যাগুলো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কারণ, তেলে থাকে প্রাকৃতিক ভিটামিন, মিনারেল ও ফ্যাটি অ্যাসিড—যা চুল ও স্ক্যাল্পে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু তেল ব্যবহারই নয়, সঠিক নিয়মে ও উপযুক্ত সময় ধরে মাথায় তেল মেসেজ করাটাও জরুরি। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ফলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং মজবুত হয়।
তবে সব ধরনের চুলে এক নিয়মে তেল ব্যবহার করলে চলবে না। নিচে দেখে নিন কোন ধরনের চুলে কেমনভাবে তেল লাগাবেন—
🔹 রুক্ষ ও শুষ্ক চুল: সপ্তাহে অন্তত তিনবার তেল লাগানো উচিত। এতে চুল ময়েশ্চারাইজড থাকবে, ছেঁড়া ও ভাঙা রোধ হবে।
🔹 তৈলাক্ত চুল: বেশি সময় তেল রাখার দরকার নেই। আধঘণ্টা তেল মেসেজ করে রেখে শ্যাম্পু করে ফেললেই যথেষ্ট। তাতে অতিরিক্ত সেবাম দূর হবে।
🔹 সাধারণ বা নরমাল চুল: সপ্তাহে এক থেকে দুইবার তেল ব্যবহার করলেই চুলে পুষ্টি বজায় থাকবে।
🔹 ড্রাই স্ক্যাল্প: স্ক্যাল্প শুষ্ক হলে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার তেল ব্যবহার করুন। এতে স্ক্যাল্প ময়েশ্চারাইজ থাকবে এবং চুল পড়াও কমবে।
🔹 তৈলাক্ত স্ক্যাল্প: সেবাম নিঃসরণ বেশি হলে সপ্তাহে একদিন তেল মেসেজ করে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।
এছাড়া বাইরে বের হলে দূষণ, ধুলা ও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চুলকে রক্ষা করতেও তেল বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সতর্কতা: তেল ব্যবহারের পর তা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। নয়তো তা ধুলোবালি আটকে স্ক্যাল্পে ইনফেকশনও তৈরি করতে পারে।
চুলের ধরন বুঝে তেল ব্যবহার করুন, তবেই মিলবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও ঝলমলে চুল।
Mily