
ছবি : সংগৃহীত
নবীজী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনধারা শুধু ইবাদতের ক্ষেত্রেই নয়, বরং প্রতিদিনের জীবনযাপনে শান্তি ও সফলতার পথ দেখায়। বিশেষ করে দিনের শুরু—সকালের সময়—ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) দোয়া করতেন: “হে আল্লাহ, আমার উম্মতের সকালকে বরকতময় করে দাও।” (তিরমিজি)
এই বরকত ও কল্যাণ পেতে আমরা চাইলে দৈনন্দিন সকালে মাত্র ৫টি সুন্নত আমল করতে পারি, যা আমাদের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক শান্তি এনে দিতে পারে।
১. ফজরের নামাজ আদায় (জমাতে হলে সবচেয়ে উত্তম)
ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, “এটা পৃথিবী ও এর সবকিছুর চেয়েও উত্তম।” (মুসলিম)।
দিনের শুরু হোক এই নামাজ দিয়ে, যা জান্নাতের প্রতিশ্রুতি এনে দেয়।
২. ঘুম থেকে উঠেই দোয়া পাঠ
ঘুম ভেঙে প্রথম বাক্য হোক আল্লাহর প্রশংসা:
“আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা, ওয়া ইলাইহিন নুশূর।”
(অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের ঘুম থেকে জীবিত করে তুলেছেন।)
৩. মিসওয়াক বা দাঁত পরিষ্কার করা
পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক। রাসুল (সা.) দিনে বহুবার মিসওয়াক করতেন, বিশেষ করে সকালে। এটি শুধু মুখের পরিচ্ছন্নতা নয়, বরং এক ধরনের সুন্নত-ইবাদতও।
৪. আকাশের দিকে তাকিয়ে কুরআন তিলাওয়াত
সকালবেলা রাসুল (সা.) আকাশের দিকে তাকিয়ে সূরা আলে-ইমরানের শেষ আয়াতগুলো পাঠ করতেন (আয়াত ১৯০-২০০)। এতে মন হয় প্রশান্ত, চিন্তা হয় শুদ্ধ।
৫. সকালবেলার যিকির ও দোয়া
"সুবহানাল্লাহি ওবিহামদিহি" ১০০ বার বললে, সমুদ্রের ফেনার সমান গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
সকালবেলার কিছু সময় নির্ধারণ করুন আল্লাহর যিকিরে—এতে সারা দিন থাকবে শয়তানের প্রভাব থেকে নিরাপত্তা।
ইসলাম আমাদের প্রতিটি কাজেই সৌন্দর্য ও নিয়ম দিয়েছে। শুধু সকালে এই কয়েকটি সুন্নত আমল আমাদের পুরো দিনকে করে তুলতে পারে শান্তিময়, সফল এবং বরকতপূর্ণ।
পরিশেষে বলাই যায়, সকালে আপনি যা করেন, সেটাই আপনার দিনের দিক নির্ধারণ করে। তাই দিনটি শুরু হোক সুন্নাহ দিয়ে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়তে।
Mily