ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলনে আবাসন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ১৭:২২, ২৬ জুলাই ২০২৫

রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলনে আবাসন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

ছবি: জনকণ্ঠ

রাজশাহীতে এক আবাসন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। শনিবার দুপুরে রাজশাহী প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগরীর বোয়ালিয়া পশ্চিম বিএনপির সভাপতি শামসুল ইসলাম মিলু।

সংবাদ সম্মেলনে মিলু বলেন, রাজশাহীর অলকার মোড়ে ‘গ্রীন প্লাজা প্রপার্টিজ’ নামে একটি আবাসন প্রকল্প পরিচালনা করছেন মোস্তাফিজুর রহমান নামের একজন ব্যবসায়ী। তিনি বহু মানুষের কাছ থেকে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে অর্থ গ্রহণ করে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেননি। এমনকি একই ফ্ল্যাট একাধিকবার বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তিনি আরও জানান, তার ছোট ভাইয়ের বন্ধু মো. আমিনুল ইসলাম ২০২৩ সালে গ্রীন প্লাজা প্রপার্টিজের একটি ফ্ল্যাট কিনতে গিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানকে ২৭ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিয়ে বরং সময়ক্ষেপণ করেন মোস্তাফিজ। এক পর্যায়ে ফ্ল্যাট না পেয়ে আমিনুল টাকা ফেরত চাইলে তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয়।

পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়লে ২০২৫ সালের জুন মাসে আমিনুল ইসলাম নগরীর মালোপাড়ায় মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চান। তখন মোস্তাফিজের সঙ্গে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি আমিনুলকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন।

এরপর আমিনুল ইসলাম বোয়ালিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির প্রেক্ষিতে পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্যদের মধ্যস্থতায় গত ৩০ জুন থানার ভেতরেই একটি আপসনামা সম্পাদিত হয়। সেখানে মোস্তাফিজুর রহমান লিখিতভাবে তিন মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়া বা বিক্রিত ফ্ল্যাট হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দেন। মিলু বলেন, যেহেতু আমারও একটি ফ্ল্যাট প্রয়োজন ছিল, তাই আমি পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে আমিনুল ইসলামের হয়ে সেই ফ্ল্যাটটি নিতে সম্মত হই।

তবে চুক্তির পরপরই মোস্তাফিজুর রহমান উল্টো অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা করেন। মামলায় সুমনসহ বিএনপি ও যুবদল-ছাত্রদলের ২২ জন নেতার নাম উল্লেখ করা হয়। সুমনের দাবি, এই মামলার মূল উদ্দেশ্য আমাদের রাজনৈতিকভাবে হেয় করা এবং প্রতারণার অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়া।

মিলু আরও দাবি করেন, মামলার তারিখে মামলার ৫ নম্বর আসামি শাহরিয়ার সুজন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন এবং ২২ নম্বর আসামি মো. আরিফুল শেখ বনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মোস্তাফিজ নিজেই রাজশাহী মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদার সঙ্গে ফোনে আলাপকালে স্বীকার করেন, মামলাটি তিনি প্রশাসনের ‘প্রেসক্রিপশন’ অনুযায়ী দায়ের করেছেন। তিনি দাবি করেন এই ফোনালাপের রেকর্ড আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি ন্যায়বিচার চাই দাবি করে মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আবির

×