
খুলনায় ৬০০ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপিত হবে
খুলনায় ৬০০ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপিত হবে। আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এ পাওয়ার প্লান্টটি বাস্তবায়নে সুন্দরবন ডেল্টা গ্রোথ ইনশিয়েটিভের (এসডিজিআই) সঙ্গে আরব ঠিকাদার ওরাস কমপেনিনসুলা কনসোর্টিয়ামের (ওকক) একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় খুলনা ক্লাব মিলনায়তনে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আগে প্রকল্প সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিতকরণ করেন সুন্দরবন ডেল্টা গ্রোথ ইনশিয়েটিভের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আসগর লবি।
আলী আসগর লবি বলেন, এই প্রকল্পটি দুই হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের বৃহৎ পরিকল্পনার প্রথম ধাপ, যা বাংলাদেশের ২০৩০ সালের মধ্যে মোট শক্তির ২৫ শতাংশ সবুজ উৎস থেকে অর্জনের জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা সুন্দরবনসহ সারাদেশে গ্রিন এনার্জি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৌশলগত উন্নয়ন পরিকল্পনা (এসডিজি) বাস্তবায়নে কাজ করছি, যেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তির অংশ ২৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনের প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে, ৬০০ মেগাওয়াটের এই প্রকল্প।
এখানে শিল্প স্থান্তরের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং পরিবেশগত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হবে।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ১ হাজার ৫০০ একরের ওপরে জমি প্রয়োজন হবে। নগরীর শিরোমনি এবং বিলডাকাতিয়া এলাকায় জমি দেখা হচ্ছে। এখানে জমি পাওয়া না গেলে মোংলায় জমি খোঁজা হবে।
আলী আসগর লবি বলেন, প্রথমে আমরা ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন দিয়ে শুরু করব। তারপর ধীরে ধীরে ৬০০ মেগাওয়াটের দিকে এগোব। এ ছাড়া মোংলা ও অন্যান্য নদীবন্দরে পরিষ্কার লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা ও পোর্ট সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিবেশ বান্ধব স্মার্ট পোর্ট ম্যানেজমেন্ট চালু, নিয়ন্ত্রিত শিল্প পুনর্বিন্যাস এবং খুলনার যুবসমাজকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সবুজ প্রযুক্তি ও ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সব মিলিয়ে মৃত শিল্পাঞ্চলের গৌরব ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করব।
অনুষ্ঠানে আরব ঠিকাদার ওরাসকম পেনিনসুলা কনসোর্টিয়ামের ঝাংজিয়াও ডং, শিলেং, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এসকে মাহমুদুল হাসান ও ড. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা, এসডিজিআইরএম এ এন শাহিন উপস্থিত ছিলেন।
প্যানেল হু