
জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্মনিবন্ধন, সনদ ও পাসপোর্টের মাধ্যমে এক গ্রাহক সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করার সুযোগ পেতেন। তবে এখন সরকারের নির্দেশে এই সংখ্যাটি কমিয়ে ১০টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে।
বর্তমানে দেশের চারটি মোবাইল অপারেটর মাসে গড়ে প্রায় ৫০ লাখ সিম বিক্রি করছে। বিটিআরসি এই পরিসংখ্যান পর্যবেক্ষণ করে দেখে, একদিনে একই গ্রাহক দুইয়ের বেশি সিম নিবন্ধন করেছে যা অস্বাভাবিক ও উদ্বেগজনক। এ ছাড়া, ১৫টি সিম থাকা গ্রাহকদের মধ্যে অনেকে পাঁচ থেকে ছয়টির বেশি সচল রাখেন না। এসব তথ্যের ভিত্তিতে বিটিআরসি সর্বোচ্চ সিম সংখ্যাকে ১৫ থেকে কমিয়ে ১০ করার নির্দেশ দিয়েছে।
বিটিআরসির কর্মকর্তারা জানান, এই নির্দেশ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৬ কোটি ৭৬ লাখ মোবাইল ব্যবহারকারী রয়েছেন, যাদের হাতে মোট ১৮ কোটি ৬২ লাখ সিম রয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে মোট ৬৭ লাখ সিম বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই পদক্ষেপের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে। কেউ বলছেন, “সিমের কারণে অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে, প্রতারণার সুযোগ বেশি হচ্ছে। একজন অপরাধী ১০ কিংবা ১৫টি সিম নিয়ে সব ধরনের অপরাধ করতে পারে।” অন্যরা মত দিচ্ছেন, “একটা পরিবারের জন্য ১০টি সিম যথেষ্ট।”
সরকারি নির্দেশনায়, গ্রাহকদের পক্ষে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নিজের পছন্দমতো অতিরিক্ত সিম বন্ধ করার সুযোগ থাকবে। গ্রাহকরা স্টার ডায়াল *১৬# কল করে নিজেদের নিবন্ধিত সিম সংখ্যা জানতে পারবেন এবং কোন সিম ডিসকানেক্ট করতে চান, সেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ করে তা বন্ধ করতে পারবেন।
এক বিটিআরসি কর্মকর্তা বলেন, “যদি কেউ এই সুযোগ গ্রহণ না করেন, তবে ৩০ অক্টোবরের পর মোবাইল অপারেটররা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১০ টির বেশি সিম বন্ধ করে দেবে।”
আইওটি সিমগুলোর ব্যাপারে তিনি জানান, সেগুলো অবশ্যই এই ক্যাপের আওতায় আনা হবে না।
সরকারি এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হচ্ছে মোবাইলে ছড়িয়ে পড়া প্রতারণা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করা এবং সিম নিবন্ধন ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ করে তোলা।
Jahan