
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান বিশ্বে সুস্থ ও কর্মক্ষম জীবনধারার জন্য শরীরচর্চা বা জিম করা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষ প্রতিদিন ব্যস্ত সময়ের মাঝেও নিজের জন্য কিছু সময় বের করে নিচ্ছে শরীরচর্চার জন্য। শরীরচর্চা শুধু সৌন্দর্য বাড়ায় না, এটি আমাদের শরীর ও মন—দুইকেই করে তোলে সুস্থ, সতেজ ও সক্রিয়।
শরীরচর্চার ফলে শরীরের যে পরিবর্তনগুলো ঘটে:
১. পেশি গঠনে সহায়তা করে
নিয়মিত জিমে অনুশীলনের মাধ্যমে পেশি দৃঢ় ও শক্তিশালী হয়। বিশেষ করে ওজন উত্তোলনের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশের পেশিগুলো গঠিত হয়, ফলে শারীরিক গঠন হয়ে ওঠে আকর্ষণীয় ও ভারসাম্যপূর্ণ।
২. চর্বি ও অতিরিক্ত ওজন হ্রাস পায়
কার্ডিও এক্সারসাইজ ও ওজন নিয়ন্ত্রণমূলক প্রশিক্ষণের ফলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি কমে যায়। নিয়মিত জিম করলে মেটাবলিজম বেড়ে যায়, যা দ্রুত ক্যালোরি খরচে সহায়তা করে।
৩. হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস পায়
শরীরচর্চা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদপিণ্ডকে করে তোলে কার্যক্ষম। এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
৪. মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়
শরীরচর্চা মানসিক চাপ কমায়, হতাশা ও উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করে। ব্যায়ামের ফলে মস্তিষ্কে এন্ডরফিন নামক ‘ফিল গুড’ হরমোন নিঃসরণ হয়, যা মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়।
৫. ঘুমের মান উন্নত হয়
নিয়মিত শরীরচর্চা ঘুমকে গভীর ও স্বস্তিদায়ক করে তোলে। যারা ইনসমনিয়ায় ভুগছেন, তাদের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম অত্যন্ত উপকারী।
৬. হাড় ও জয়েন্টের শক্তি বৃদ্ধি পায়
ওয়েট ট্রেনিং ও স্ট্রেংথ এক্সারসাইজের মাধ্যমে হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে এবং হাড় দুর্বল হওয়া বা অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
৭. ইমিউন সিস্টেম মজবুত হয়
ব্যায়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত শরীরচর্চার ফলে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে শরীর অধিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।
শরীরচর্চার পূর্বে ও পরে যা জানা জরুরি:
- পেশাদার ট্রেইনারের নির্দেশনা গ্রহণ করা উচিত
- ব্যায়ামের আগে ওয়ার্মআপ এবং পরে কুলডাউন করা প্রয়োজন
- সুষম খাদ্য ও পর্যাপ্ত পানি পান জরুরি
- অতিরিক্ত চাপে না পড়ে ধাপে ধাপে অনুশীলন বৃদ্ধি করা উচিত
মুমু ২