
ছবি: সংগৃহীত
গাজার ক্রমবর্ধমান খাদ্য সংকট ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে, ইসরায়েল জানায়—তারা সম্প্রতি গাজা উপত্যকায় আকাশপথে মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে।
রোববার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানায়, বিমান থেকে ফেলা হয় সাতটি প্যাকেট, যাতে ছিলো ময়দা, চিনি ও টিনজাত খাদ্যসামগ্রী। এর আগেও ইসরায়েল জানিয়েছিল, তারা জাতিসংঘের সহায়তা পৌঁছাতে গাজায় একটি মানবিক করিডর চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই পদক্ষেপ আসে এমন এক সময়, যখন গাজায় সহায়তা প্রবেশের আহ্বান ও অনাহারের হুমকি ঘনিভূত হচ্ছে। যদিও গাজায় পরিকল্পিতভাবে অনাহার সৃষ্টি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে এবং ‘কোগাট’ বিভাগের তত্ত্বাবধানে এই ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
আইডিএফ এক ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যায় আকাশ থেকে ত্রাণ সামগ্রী ফেলছে তারা। তবে এসব ভিডিওর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি এবং ফিলিস্তিনপক্ষ থেকেও এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি।
শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, তারা গাজায় মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়নে নতুন কিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ‘মানবিক বিরতির’ পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, তারা গাজায় একটি পানিশোধন কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালুর কথাও জানায়, যার মাধ্যমে প্রায় ৯ লাখ মানুষ উপকৃত হবে বলে দাবি করা হয়। মার্চে ইসরায়েল সব ধরনের সরবরাহ বন্ধ করলেও, মে মাসে তা কিছুটা শিথিল হয়।
গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ)-কেও কার্যক্রম চালাতে অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। এই সংস্থা মে মাস থেকে কাজ শুরু করলেও, প্রতিদিনই সেখানে হতাহতের খবর আসছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, অধিকাংশই প্রাণ হারাচ্ছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে।
তবে ইসরায়েল বলছে, সেনারা আত্মরক্ষার্থে সতর্কতামূলক গুলি চালিয়েছে এবং ত্রাণ বিতরণস্থলে অস্থিরতার জন্য হামাসকে দায়ী করেছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা
আসিফ