
ছবিঃ সংগৃহীত
চার দিন পর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে—আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া দেহটি জায়রা নামের এক শিশুর মা, লামিয়ারই। মৃত্যুর বিভীষিকা এমনই ছিল যে, দেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছিল যে চেনার উপায় ছিল না। শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানের সাহায্যেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে লামিয়াকে।
সেদিন প্রতিদিনের মতোই স্কুলে গিয়েছিল জায়রা। ক্লাস চলাকালীন বাইরে নারিকেল গাছের নিচে দাঁড়িয়ে মেয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল মা লামিয়া। ক্লাস শেষে মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিলও তার। কিন্তু হঠাৎই জায়রার মনে পড়ে যায়, সে হোমওয়ার্ক খাতা নিয়ে আসেনি। মা লামিয়া তাকে আবার শ্রেণিকক্ষে ফিরে যেতে বলেন।
ঠিক সেই মুহূর্তে আকাশ চিড়ে নেমে আসে যুদ্ধবিমান। মুহূর্তের মধ্যে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চারপাশ। আগুন আর ধোঁয়ার মধ্যে চোখের সামনে পুড়ে যেতে থাকে জায়রার মা। অথচ সেই মর্মান্তিক দৃশ্য দেখেও মেয়েটি কিছু বলেনি কাউকে—শুধু চুপচাপ ফিরে এসেছিল বাড়িতে।
দীর্ঘ অপেক্ষা ও অস্বস্তির পরে, অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার ফল জানাল—জ্বলে-পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া সেই দেহটি সত্যিই লামিয়ারই ছিল। মা হারানোর বেদনা আরও গাঢ় হলো এই নিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে।
তথ্যসূত্রঃ https://youtube.com/shorts/w9PK0dKuowM?si=WS-4iF2Ug2IPI-b9
মারিয়া