
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় নাইম (১৮) নামে এক যুবকের উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের সিড়িঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে আহত নাইমের বাবা শফিকুল ইসলাম মেলান্দহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় নাইম বাড়ির পাশে মসজিদের টিউবওয়েলে গোসল করছিল। এ সময় তার প্রতিবেশী শাহজাহান হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে একটি কাঠের টুকরা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে নাইমকে টেনে-হিঁচড়ে শাহজাহানের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ঘরের ভেতরে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। পরে দীর্ঘ সময় ধরে তাকে পিটিয়ে আহত করার পাশাপাশি অচেতন অবস্থায় তার শরীরে বিড়ির আগুনের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। এ সময় নাইমের মা নাজমা বেগম (৪০) ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়।
পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, নাইমকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহত নাইমের হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন এবং আগুনের ছ্যাঁকার দাগ রয়েছে। রবিবার বিকালে পুলিশের সহায়তায় আহত নাইমকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সে অসুস্থ অবস্থায় মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক ও অমানবিক। এ ধরনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি করেছেন তারা।
মেলান্দহ থানার ওসি উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আফরোজা