
ছবিঃ সংগৃহীত
সুস্থ-সবল ও দীর্ঘ জীবন কে না চায়? কিন্তু শুধু ডায়েট আর ব্যায়ামেই কি হয়? সম্প্রতি এক ভাইরাল ভিডিওতে, ১০২ বছর বয়সী এক জ্যামাইকান দাদি জানালেন দীর্ঘজীবনের গোপন রহস্য—আর সেটা হলো নিজেকে নিঃশর্ত ভালোবাসা ও ইতিবাচক মানসিকতা।
ইনস্টাগ্রামের ইনফ্লুয়েন্সার ‘Tay from the Bay’ এক ভিডিওতে তার ঠাকুমাকে জিজ্ঞাসা করেন—এতদিন সুখে-শান্তিতে বাঁচার রহস্য কী? জবাবে দাদি বলেন, “আমি নিজেকে খুব ভালোবাসি, আর এটা সবাই করা উচিত। নিজের যত্ন নেওয়া, মন ভালো রাখা, আর সমস্যা নিয়ে পড়ে না থেকে সমাধানের দিকে মন দেওয়া খুবই জরুরি।”
নিজেকে ভালোবাসা শেখা – কীভাবে?
বর্তমান যুগে আমরা নিজেরাই নিজেদের সবচেয়ে বড় সমালোচক। "আমি কিছুই পারি না", "আমি সব সময় ভুল করি"—এমন নেতিবাচক ভাবনা অনেকেই প্রতিনিয়ত করেন। অথচ এসব বদলে বলুন—"আমি আমার সাধ্যমতো করছি", "আমি ভালোবাসা ও সম্মানের যোগ্য"।
এই বৃদ্ধার উপদেশকে গুরুত্ব দিয়ে জীবনযাত্রায় আনুন কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন—
● ইতিবাচক কথাবার্তা বলুন নিজের সাথে
নেতিবাচক চিন্তা ধরা পড়লেই থামুন এবং তা ইতিবাচক কথায় রূপান্তর করুন। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
● নিজের যত্ন নিন
পুষ্টিকর খাবার, পর্যাপ্ত পানি ও ঘুম এবং নিয়মিত ব্যায়াম—এই অভ্যাসগুলোই প্রমাণ করে আপনি নিজেকে ভালোবাসেন। শারীরিকভাবে ভালো থাকলে মানসিক শক্তিও বাড়ে।
● সীমারেখা নির্ধারণ করুন
সব সময় ‘হ্যাঁ’ বলার প্রয়োজন নেই। নিজের সময় ও মানসিক শক্তিকে সম্মান দিন। যে কাজে অস্বস্তি বোধ হয়, তা এড়িয়ে চলুন।
● পছন্দের কাজ করুন
নিজের পছন্দের কাজ যেমন বই পড়া, ছবি আঁকা, গান শোনা কিংবা স্রেফ বিশ্রাম—এসব আনন্দদায়ক কাজে মন দিন। এতে জীবনে আনন্দ ও প্রশান্তি আসে।
● ছেড়ে দিতে শিখুন
ভুল করা মানবীয়। পুরনো দোষ-ত্রুটি ভুলে নিজেকে ক্ষমা করুন। এতে হৃদয় হালকা হয়, মন থেকে নেতিবাচকতা দূর হয়।
● ইতিবাচক মানুষদের সঙ্গ নিন
যে বন্ধুবান্ধব ও পরিবার আপনাকে সম্মান করে, তাদের সঙ্গেই সময় কাটান। নেতিবাচক মানুষদের এড়িয়ে চলুন।
● সচেতন ও কৃতজ্ঞ থাকুন
নিজের অনুভূতি ও চিন্তা লক্ষ্য করুন, কিন্তু নিজেকে বিচার করবেন না। প্রতিদিনের ছোট ছোট আনন্দের জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন। এতে মন শান্ত ও আনন্দিত থাকে।
উপসংহার
১০২ বছরের দাদির জীবনদর্শন আমাদের শেখায়—দীর্ঘজীবনের গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে নিজের প্রতি ভালোবাসা, ইতিবাচক চিন্তা ও আত্ম-স্নেহে। তাই আজ থেকেই শুরু করুন নিজেকে ভালোবাসার চর্চা। জীবন হবে সুন্দর, সুখী ও অর্থবহ।
ইমরান