
“পেঁয়াজ যা উপকার করে, মা-ও করে না” – এই প্রবাদটি আমাদের সবারই জানা। রান্নাঘরের অপরিহার্য উপাদান পেঁয়াজের অগণিত গুণাগুণ রয়েছে। প্রতিদিনের খাবারে প্রায় প্রতিটি রান্নাতেই ব্যবহৃত এই পেঁয়াজে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, এবং কারমিনেটিভ ধর্ম, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পেঁয়াজ রক্ত শুদ্ধ করে এবং পেঁয়াজের রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ইত্যাদি দ্রুত সেরে যায়।
তবে, পেঁয়াজের উপকারিতা জানার পরও অনেকেই কাটা পেঁয়াজ দীর্ঘক্ষণ রেখে দেন। বাড়ির প্রতিটি রান্নাঘরে প্রায়ই দেখা যায় যে, রাতে কাটা পেঁয়াজ সকালে বা সকালে কাটা পেঁয়াজ বিকেলে ব্যবহার করা হয়। তবে, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, কাটা পেঁয়াজ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
কাটা পেঁয়াজ বাতাসের ব্যাকটেরিয়া দ্রুত শোষণ করে, এবং এমন পেঁয়াজ খেলে পেটের সমস্যা, বমি, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা এবং এমনকি ফুড পয়জনিংও হতে পারে। কাটা পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখলেও ভালো নয়। ফ্রিজে রাখলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দুর্গন্ধ ছড়িয়ে অন্যান্য খাবারের স্বাদও নষ্ট করতে পারে।
পেঁয়াজ কাটার পরপরই তা ব্যবহার করা উত্তম। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে বিশেষভাবে সংরক্ষণ করা উচিত। বাতাস চলাচল না হওয়া বাক্সে ঢাকনা দিয়ে বা জিপ কভারেও রাখতে পারেন। মনে রাখবেন, বাতাস লাগলে পেঁয়াজ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
আপনি যদি ব্যবহার না করা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে চান, তবে তা ব্লেন্ড করে পেস্ট আকারে রাখা যেতে পারে, যা দীর্ঘসময় ভালো থাকবে।
রাজু