
ছবি: সংগৃহীত
শৃঙ্খলা ভেঙে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত। বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে শুরু হওয়া এই ব্যাপক গুলিবিনিময়ে দু’পক্ষের একাধিক সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে সীমান্তবর্তী আরও ছয়টি অঞ্চলে।
প্রথম গুলি কে ছুঁড়েছে তা নিয়ে চলছে তীব্র বাকবিতণ্ডা, একে অপরকে দোষারোপ করছে উভয় দেশ। এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হুমখম হুয়েচাইজ।
তিনি বলেন, “সকালে গুলির খবর পেয়েছি, আন্তর্জাতিক আইন মেনে আমরা সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নেব।”
এর মধ্যেই সীমান্তবর্তী সুরিন প্রদেশে কম্বোডিয়া রকেট হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে থাই প্রশাসন। হামলায় ফুনমডং রাখ হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাতে শিশুসহ বহু আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বেসামরিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে এবং ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে।
এছাড়া থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার সঙ্গে সব সীমান্ত পয়েন্ট বন্ধ করে দিয়েছে।
অন্যদিকে বিপুল সেনা ও ছয়টি F-6 যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে পাল্টা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। এতে কম্বোডিয়ার দুটি সামরিক চেকপোস্ট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এই হামলাকে "নিঃশংস ও অবৈধ সামরিক আগ্রাসন" বলে উল্লেখ করেছে কম্বোডিয়া, যা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি বলে দাবি দেশটির।
মূলত, সীমান্তে কম্বোডিয়ার পুঁতে রাখা স্লোমাইন বিস্ফোরণে একজন থাই সেনা গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই নতুন উত্তেজনার সূচনা।
শেখ ফরিদ