ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসা কর্মসূচি নিয়ে তদন্তে ট্রাম্প প্রশাসন

প্রকাশিত: ২১:৩০, ২৩ জুলাই ২০২৫

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসা কর্মসূচি নিয়ে তদন্তে ট্রাম্প প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের “এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রামে স্পনসর থাকার যোগ্যতা” নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। বুধবার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই তথ্য জানান। আইভি লিগভুক্ত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রশাসনের চাপ আরও বাড়ল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই তদন্তের ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো, যখন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি বন্ধে সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হার্ভার্ড আদালতে আইনি লড়াই চালাচ্ছে।

রুবিও বলেন, “তদন্তের উদ্দেশ্য হলো নিশ্চিত করা পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মসূচিগুলো যেন দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে না যায়।” তবে তদন্তের বিস্তারিত তথ্য তিনি দেননি।

এর আগে, চলতি বছরের মে মাসে ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রামের স্ট্যাটাস বাতিল করে। তবে ফেডারেল বিচারক অ্যালিসন বারোজ এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন।

রুবিও তার বিবৃতিতে বলেন, “এই প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া প্রতিটি স্পনসরকে বিনিময় ভিজিটর সংক্রান্ত নিয়মকানুন মেনে চলা, রিপোর্টিংয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার নীতিগুলোতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে এই প্রোগ্রামের ভিত্তিই এগুলো।”

ট্রাম্প প্রশাসন এর আগে হার্ভার্ডের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী প্রোগ্রামকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষের (অ্যান্টিসেমিটিজম) উপস্থিতিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করে। তারা অভিযোগ করে যে, বিশ্ববিদ্যালয় সরকারকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়নি।

ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে হার্ভার্ডের বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে জমে উঠছে। ১৭ এপ্রিল ২০২৫-এ ক্যামব্রিজে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় জন হার্ভার্ড ভাস্কর্যের পাশে ব্যানার হাতে অবস্থান নেন তারা।

রুবিও আরও বলেন, “স্পনসর হওয়ার সুবিধা বজায় রাখতে হলে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাদের প্রোগ্রাম যেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি বা জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন না করে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।”

“আমেরিকান জনগণের অধিকার আছে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয় যেন জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করে, আইন মেনে চলে এবং সব শিক্ষার্থীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করে,” বলেন মার্কো রুবিও।

সিএনএন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলেও এখনো কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে আগের আদালত দাখিলকৃত কাগজপত্রে হার্ভার্ডের আইনজীবীরা জানান, তারা আইন অনুযায়ী সব শিক্ষার্থী সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করেছেন এবং ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ রোধে কার্যকর পদক্ষেপও নিয়েছেন।

এই বিবৃতি আসে একদিন পরেই, যখন হার্ভার্ড ও সরকারের এক আইনজীবী একটি পৃথক মামলায় আদালতে মুখোমুখি হন। সেই মামলায় হার্ভার্ড অভিযোগ করে ট্রাম্প প্রশাসন যে প্রক্রিয়ায় তাদের ২০ লাখ ডলারের সরকারি অনুদান স্থগিত করেছে, তা আইনি নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।

বিচারক বারোজ, যিনি এই অনুদান মামলাটিও দেখছেন, এখনো তার রায়ের তারিখ জানাননি।

Jahan

×