ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

ওবামার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ ট্রাম্পের

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ২৩ জুলাই ২০২৫

ওবামার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ ট্রাম্পের

ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে বলেছেন, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়টি বানিয়ে তার প্রচারাভিযানকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ট্রাম্প দাবি করেছেন, এটি ছিল "রাষ্ট্রদ্রোহ"।

ওভাল অফিসে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, "ওবামা ধরা পড়েছে। এটা ছিল রাষ্ট্রদ্রোহ। তারা নির্বাচন চুরি করতে চেয়েছিল। তারা এমন সব কাজ করেছে যা অন্য দেশেও কল্পনা করা যায় না।" তবে ট্রাম্প তার অভিযোগের পক্ষে কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।

ট্রাম্পের অভিযোগের পেছনে গাবার্ডের মন্তব্য
ট্রাম্পের এই মন্তব্য আসে তার গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গাবার্ডের এক ঘোষণার পরে। গাবার্ড বলেন, ওবামা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগের কাছে মামলা পাঠানো হবে। তিনি দাবি করেন, তারা ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে থামাতে একটি 'রাষ্ট্রদ্রোহমূলক ষড়যন্ত্র' করেছিলেন।

তবে ডেমোক্র্যাটরা এই দাবিকে "ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত" বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ওবামা পক্ষে কড়া প্রতিক্রিয়া
সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার মুখপাত্র প্যাট্রিক রোডেনবুশ বলেন, "এই অদ্ভুত অভিযোগগুলো হাস্যকর এবং প্রকৃত সমস্যা থেকে মনোযোগ সরানোর দুর্বল চেষ্টা।"

পূর্বের তদন্ত প্রতিবেদন কী বলছে?
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার একটি মূল্যায়নে বলা হয়, রাশিয়া সামাজিক মাধ্যম, হ্যাকিং ও প্রপাগান্ডার মাধ্যমে হিলারি ক্লিনটনের প্রচারাভিযানকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল এবং ট্রাম্পকে সহায়তা করেছিল। তবে এতে ভোটের ফলাফল সরাসরি প্রভাবিত হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

২০২০ সালে সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির দ্বিদলীয় এক রিপোর্টেও একই ধরনের সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয়।

ট্রাম্পের অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত ষড়যন্ত্র তত্ত্ব
ট্রাম্প এর আগেও সাবেক প্রেসিডেন্টদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়েছেন। ওবামার নাগরিকত্ব নিয়েও তিনি ২০১১ সালে প্রশ্ন তোলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে, ট্রাম্প একটি ভুয়া ভিডিও পোস্ট করেছেন যেখানে ওবামাকে হ্যান্ডকাফ পরে ওভাল অফিসে গ্রেফতার হতে দেখা যায়।

এক্স (সাবেক টুইটার)-এ ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি জিম হাইমস বলেন, "এটি একটি মিথ্যা কথা। প্রেসিডেন্ট যদি বিভ্রান্ত হন, তাহলে তিনি মার্কো রুবিওর কাছে জিজ্ঞেস করতে পারেন, যিনি এই তদন্তের দ্বিদলীয় সিনেট কমিটি পরিচালনা করেছিলেন।"

বর্তমানে, সাবেক রিপাবলিকান সেনেটর রুবিও ট্রাম্প প্রশাসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তথ্যসূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস 
 

নোভা

×