
সংগৃহীত
উত্তরার দিয়াবাড়িতে সামরিক প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে স্কুলের ভেতরে শিশু-শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির ঘটনায় দেশজুড়ে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিমান বিধ্বস্ত দুর্ঘটনায় একজন পেশাদার পাইলট ও আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষিত ইন্সট্রুমেন্ট ফ্লাইট রুলস (IFR) ও মাল্টি‑ইঞ্জিন কোর্স সম্পন্ন একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হিসেবে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তার মতে, এটি একটি সাধারণ দুর্ঘটনা নয়, বরং “সুপরিকল্পিত মিলিটারি-পি.আর. অপারেশন” যার উদ্দেশ্য ছিল সামরিক বাহিনীর ভাবমূর্তি স্বস্তির করা ও দেশের চলমান বিতর্কগুলো থেকে মনোযোগ সরিয়ে আনা। তার বিশ্লেষণে উঠে এসেছে—এটি আসলে একটি পরিকল্পিত “মানসিক ও রাজনৈতিক রি-ফ্রেমিং অপারেশন” হতে পারে।
কেন তিনি একে পরিকল্পিত বলছেন?
১. অস্বাভাবিক ইজেকশন সময়:
- কম উচ্চতায় প্রশিক্ষণ চলাকালে ইজেকশন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অথচ এখানে দ্রুত ইজেক্ট করা হয়েছে। এটি পূর্ব-পরিকল্পিত কি না, সে প্রশ্ন উঠছে।
২. বেছে নেওয়া 'ক্র্যাশ সাইট':
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্লাস চলাকালীন সময়ে বিমান ভেঙে পড়েছে। জনবহুল এলাকায় সামরিক প্রশিক্ষণ বিমানের ওড়াও স্বাভাবিক নয়।
৩. দৃশ্যমান মিডিয়া প্রস্তুতি:
- দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই নির্দিষ্ট কোণ থেকে ভিডিও, রেসকিউ দৃশ্য ও সমন্বিত সংবাদ প্রকাশ—সবই যেন আগে থেকেই তৈরি ছিল।
৪. সাম্প্রতিক সেনা বিতর্ক ও জনগণের মনোভাব:
- বিভিন্ন বিতর্কে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। এই ঘটনা সেই নেতিবাচকতা ঢাকতে একটি 'হিরো নির্মাণ নাটক' কি?
৫. জনমনে ভিন্ন খাতে দৃষ্টি ফেরানো:
- দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা, অর্থনৈতিক চাপ, ছাত্র আন্দোলন, বিদ্যুৎ সংকট, মানবাধিকার ইস্যু—সবকিছু থেকে দৃষ্টি সরাতে একটি 'নিয়ন্ত্রিত বিপর্যয়' তৈরি করা হয়েছে কি?
তিনি যা দাবি করছেন:
- ফ্লাইট রেকর্ডার (ব্ল্যাক বক্স) জনসমক্ষে প্রকাশ করা হোক
- স্বাধীন এভিয়েশন বোর্ড দিয়ে তদন্ত পরিচালনা করা হোক
- ATC টাওয়ার কমিউনিকেশন ও GPS লগ প্রকাশ করা হোক
- সেনা মিডিয়া নাটক নয়, বাস্তব তথ্য প্রকাশ করা হোক
এই ঘটনার মাধ্যমে মানুষের আবেগ যেমন বিপর্যস্ত হয়েছে, তেমনি প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে একটি প্রশিক্ষণ বিমান জনবহুল স্কুলে ভেঙে পড়ে? এটি যদি নিছক দুর্ঘটনা না হয়, তবে কারা এর পেছনে? কি উদ্দেশ্যে এই শিশুদের জীবন কেড়ে নেওয়া হলো?
সত্য উন্মোচন এখন সময়ের দাবি। মানুষের আস্থা ও নিরাপত্তার প্রশ্নে এ ঘটনা স্বচ্ছভাবে তদন্ত হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
হ্যাপী