
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার পাথারপুর বাইদে প্রতিদিন আখের রস বিক্রি করেন আব্দুল মালেক। ভালুকা উপজেলার পাচগাঁও গ্রামের আব্দুল মালেক ভ্যানে করে এনে প্রতিদিন বিক্রি করেন চার থেকে সাত হাজার টাকার আখের রস। এতে অর্ধেকের বেশি থাকে তাঁর লাভ।
গাছতলায় বসানো তাঁর অস্থায়ী দোকানটি যেন এক তৃষ্ণা মেটানোর ঠিকানা। চলন্ত গাড়ির চালক, বাইকচালক, অটোরিকশা চালক থেকে শুরু করে যাত্রীরা সবাই এক গ্লাস ঠাণ্ডা আখের রস খেয়ে তৃপ্ত হন। দূর-দূরান্ত থেকেও অনেকে বাইক নিয়ে এসে পান করেন মালেকের আখের রস। প্রতি গ্লাসের দাম মাত্র ২০ টাকা। নেই কোনো ভেজাল, একেবারে খাঁটি রস — এটাই তাঁর ক্রেতা বাড়ার প্রধান হাতিয়ার।
পাথারপুর গ্রামের বাসিন্দা জনি মিয়া বলেন, আব্দুল মালেকের আখের রস খেতে অনেক দূর দূরান্ত থেকে লোকজন আসে। সেদিন রস খেতে গিয়ে দেখলাম ট্রাকচালক গাড়ী থামিয়ে রস খাচ্ছেন। তার রসের খ্যাতি আশেপাশে ছড়িয়ে পড়েছে।
আব্দুল মালেক বলেন, “বিদেশে যাই নাই, কারণ কেউ মারা গেলে বা বিপদে পড়লে দেশে ফেরা যায় না। তাই আখের রস বিক্রিকেই পেশা হিসেবে নিয়েছি। বাড়ির পাশের অনেকে গার্মেন্টসে চাকরি করে, কিন্তু আমি করিনি। কারণ, বিপদে-আপদে মানুষকে সাহায্য করতে পারি — এটা বড় বিষয়।”
ফোন পেলে সঙ্গে সঙ্গেই ভ্যান নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে যান মালেক। তাঁর এই উদ্যম আর সততার কারণে তিনি হয়ে উঠেছেন এলাকার সফল উদ্যোক্তা। আয়ের পাশাপাশি অর্জন করেছেন সাবলম্বীতাও।
রাজু