
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর দিয়াবাড়িতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৭৮ জন। যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।
তিনি বলেন, সারারাত হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এরপরও এই ঘটনায় বেশ কিছু প্রাণ ঝরে গেছে। এ মুহূর্তে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৭৮ জন। এদের মধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪২, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২৮ ও ঢাকা মেডিকেলে ৩ জন ভর্তি।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউটে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিএমএইচ এ সব মিলিয়ে ১৫ জন মারা গেছেন। এছাড়া ঢাকা মেডিকেলে ১ জন, ইউনাইটেডে ১ জনসহ সব মিলিয়ে ২৭ জন মারা গেছেন। এছাড়া উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে একটি দেহাবশেষ রয়েছে। তবে সেটি পূর্ণাঙ্গ মরদেহ নাকি অন্য কোন লাশের অংশ সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহত ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জনই শিশু। একজন শিক্ষিকা এবং একজন পাইলট।
তিনি বলেন, ২৭ টি লাশের মধ্যে ২০টি লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনো ৬টি লাশ এবং উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে থাকা দেহাবশেষ এখনো শনাক্ত হয়নি। এগুলো ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি জানান, এই ৭৮ জন রোগীর কেস সামারি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা সেগুলো পর্যালোচনা করছেন। যদি তারা মনে করেন, এখান থেকে কাউকে পাঠানো প্রয়োজন, তাহলে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর বাইরে আপাতত হাসপাতালগুলোতে খুব বেশি রক্তের প্রয়োজন নেই। এজন্য হাসপাতালে ভিড় না করতে অনুরোধ করেন তিনি।
আবির