
ছবি: সংগৃহীত।
বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম নিহত হন। তার মৃত্যুতে শোকাহত রাজশাহীর বাড়িতে ছুটে যান তার এক সময়ের প্রশিক্ষক মোস্তাক আহমেদ।
সোমবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাজশাহীতে তৌকিরের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তার পরিবার-পরিজনের সঙ্গে দেখা করেন মোস্তাক আহমেদ। তিনি তৌকিরের শিক্ষাজীবনের বিভিন্ন দিক ও তার সঙ্গে শেষ আলাপের কথাগুলো তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “তৌকির খুব মেধাবী ছিল। শান্ত, ভদ্র আর ভীষণ মিশুক স্বভাবের ছেলে ছিল। ছোটদের স্নেহ করত, বড়দের সম্মান জানাত। তাকে ছোট থেকেই দেখছি। আমি পাবনা ক্যাডেট কলেজে তার প্রশিক্ষক ছিলাম। তার এমন মৃত্যুতে আমি নিজেও ভেঙে পড়েছি।”
মোস্তাক আহমেদ স্মৃতিচারণ করে বলেন, “মাত্র এক মাস আগেই তৌকিরের সঙ্গে কথা হয়েছিল। সে তখন বলেছিল— ‘স্টাফ, আমি আসতেছি, দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।’ এটা-ই ছিল তার সঙ্গে আমার শেষ কথা।”
তিনি আরও জানান, তৌকির রাজশাহী গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর পাবনা ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হয়। সেখান থেকেই শুরু হয় তার কঠিন পরিশ্রমের জীবন।
প্রসঙ্গত, এই দুর্ঘটনায় তৌকির ইসলাম শহীদ হন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কানসার্ট গ্রামে হলেও রাজশাহীতেও রয়েছে তাদের বাসা। এ মৃত্যুর খবরে দুই স্থানেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
নুসরাত