
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডাসহ ২৫টি পশ্চিমা দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, ইসরায়েল গাজায় ‘অমানবিকভাবে মানুষ হত্যা’ করছে, বিশেষ করে খাবার নিতে আসা সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালানো ভয়াবহ।
এই বিবৃতিতে দেশগুলো বলেছে, গাজার মানুষদের ত্রাণ দেওয়া খুবই ধীরগতিতে চলছে, যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। তারা জানিয়েছে, খাবার নিতে গিয়ে ৮০০’র বেশি বেসামরিক মানুষ মারা গেছে, যাদের বেশিরভাগই নিহত হয়েছেন Gaza Humanitarian Foundation (GHF)-এর আশেপাশে।
GHF মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সহায়তায় জাতিসংঘের পরিবর্তে গাজায় ত্রাণ সরবরাহের দায়িত্ব নিয়েছে। তবে এই পদ্ধতিকে বিপজ্জনক বলেছে ২৫টি দেশ। তাদের ভাষায়, “এই ত্রাণ ব্যবস্থায় গাজার মানুষ তাদের ন্যায্য মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, এবং এতে অস্থিরতা আরও বাড়ছে।”
ইসরায়েল এই বিবৃতিকে “বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন” বলে দাবি করেছে। তাদের মতে, এতে হামাসের ওপর চাপ না দিয়ে বরং ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১,২০০ জনকে হত্যা ও ২৫১ জনকে অপহরণ করেছিল। এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় হামলা শুরু করে। এখন পর্যন্ত ৫৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ বলেছে, GHF-এর ত্রাণ বিতরণ পদ্ধতি নিরাপদ নয় এবং এতে মানবিক নিয়ম ভঙ্গ হচ্ছে। যদিও GHF এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিবৃতিদাতা দেশগুলো বলেছে, ইসরায়েল যেন দ্রুত মানবিক ত্রাণ প্রবাহে বাধা তুলে নেয় এবং জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থা যেন নিরাপদে কাজ করতে পারে—সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
তারা আরও বলেছে, “আমরা যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের পথে প্রয়োজনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত আছি।”
আবির