ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রংপুরের হাঁড়িভাঙা আম: স্বাদ, ঐতিহ্য ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি!

মোঃ সুজা উদ্দিন,কন্ট্রিবিউট রিপোর্টার,রংপুর

প্রকাশিত: ০০:২৭, ২২ মে ২০২৫

রংপুরের হাঁড়িভাঙা আম: স্বাদ, ঐতিহ্য ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি!

ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়ন থেকে বিশ্ববিখ্যাত হাঁড়িভাঙা আমের উৎপত্তি, যা এখন সারা বিশ্বে সমাদৃত। এই সুস্বাদু আমের পেছনে রয়েছে এক বৃক্ষবিলাসী মানুষের দীর্ঘ প্রচেষ্টা ও ভালোবাসার গল্প।

নফল উদ্দিন পাইকার নামের এক দূরদর্শী ব্যক্তি এই আমের ইতিহাসের গোড়াপত্তন করেছিলেন। শুরুতে এই আমের নাম ছিল 'মালদিয়া'। ১৯৭০ সালে ১২০ বছর বয়সে নফল উদ্দিন পাইকার মারা যান, কিন্তু তার হাতে গড়া এই আম আজও তার স্মৃতি বহন করে চলেছে।

হাঁড়িভাঙা আম তার অনন্য স্বাদ, গন্ধ এবং আকর্ষণীয় রঙের জন্য পরিচিত। এর আঁশবিহীন শ্বাস এবং মিষ্টি স্বাদ একে ভোজনরসিকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় করে তুলেছে। শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও এই আমের চাহিদা ব্যাপক। প্রতি বছর মৌসুম এলেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা রংপুরে ছুটে আসেন এই আম সংগ্রহ করতে।

চলতি বছর রংপুরের বিখ্যাত হাঁড়িভাঙা আম আগামী ২০ জুনের পর থেকে বাজারজাত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগ এবং স্থানীয় আম চাষিরা আমের গুণগত মান বজায় রেখে ভালো ফলনের প্রত্যাশা করছেন। ইতিমধ্যেই বাগানগুলোতে আমের পরিচর্যা চলছে পুরোদমে। সঠিক সময়ে বাজারজাতকরণের মাধ্যমে চাষিরা ন্যায্য মূল্য পাবেন এবং ভোক্তারাও তাজা ও সুস্বাদু আম উপভোগ করতে পারবেন।

হাঁড়িভাঙা আম শুধু একটি ফল নয়, এটি রংপুরের ঐতিহ্য এবং অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই আমের চাষাবাদ স্থানীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে এবং অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। নফল উদ্দিন পাইকারের লাগানো সেই চারা গাছ আজ একটি বৃহৎ শিল্পে পরিণত হয়েছে, যা রংপুরের নাম উজ্জ্বল করছে বিশ্ব দরবারে।

আলীম

×