
ছবি: প্রতীকী
বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক নাগরিক আইনগত বিষয়ে সচেতন হলেও নিজের নামে ওয়ারেন্ট জারি হলে অনেকেই আতঙ্কে পড়ে যান, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। কী করবেন, কোথায় যাবেন, কাকে জানাবেন—এসব প্রশ্ন তাদের অস্থির করে তোলে। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাকির হোসেন এক ভিডিও বার্তায় বিস্তারিতভাবে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আপনার নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে জানতে পারলেই প্রথম কাজ হলো — কোথায়, কী অভিযোগে মামলা হয়েছে তা খুঁজে বের করা। অনেক সময় আর্থিক লেনদেন, শরীরিক আঘাত, প্রতারণা, নির্যাতন, অথবা অন্য কোনো আইনি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা হতে পারে। মামলা কোথায় হয়েছে তা জানার পরপরই সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে মামলার কপি সংগ্রহ করা জরুরি।
মামলার কপি কেন দরকার?
মামলার কপি ছাড়া আসল ঘটনা বোঝা যায় না এবং পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কপি হাতে পাওয়ার পর দেখা উচিত, মামলাটি আপসযোগ্য কি না এবং কোন ধারায় মামলা হয়েছে।
পরবর্তী করণীয় কী?
ওয়ারেন্ট ইস্যু হওয়ার পর আপনি দু'টি পথ অনুসরণ করতে পারেন—
১. হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেওয়া
২. সরাসরি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করা
এডভোকেট জাকির হোসেনের মতে, যদি মামলা আপসযোগ্য বা কম গুরুত্বের হয়, তবে সরাসরি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেই জামিন পাওয়া যায়। তবে যদি আশঙ্কা থাকে যে গ্রেফতার হতে পারেন, তাহলে হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেওয়াই শ্রেয়। সাধারণত হাইকোর্ট ৪ থেকে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত আগাম জামিন দেয়। এই সময়ের মধ্যে আপনি নিম্ন আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করলে সেখান থেকেও জামিন পাওয়ার সুযোগ থাকে।
ভয় না পেয়ে সচেতন হোন
তিনি বলেন, ‘ওয়ারেন্ট হওয়া মানেই গ্রেফতার বা জেল নয়। যারা এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়ে আতঙ্কিত হন, তাদের বলব—ভয় না পেয়ে স্বাভাবিক থাকুন, আইনগত পরামর্শ নিন এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিন। উপযুক্ত আইনি সহায়তা নিয়ে মামলা মোকাবিলা করলেই মুক্তির পথ সুগম হবে।’
রাকিব