
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারওয়ার তুষার সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শো-তে অংশ নিয়ে চলমান রাজনৈতিক বিতর্ক, আদালতের রায় উপেক্ষা, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা, ও ইশরাক হোসেনের আন্দোলনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
সারওয়ার তুষার বলেন, হাইকোর্টের রায় উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন যে ট্রাইবুনাল রায় দিয়েছে, সেটি একপাক্ষিক এবং অবৈধ। তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন শুনানিতে অংশ না নিয়ে এবং পরে আপিল না করে একটি পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান নিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো গ্যাজেট ও চিঠির প্রসঙ্গ তুলে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কিভাবে এই চিঠি ইশরাক হোসেনের হাতে পৌঁছে যায়, এবং তা কি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ফাঁস হয়েছে?
তিনি আরও দাবি করেন, ইশরাক হোসেন প্রকৃতপক্ষে মেয়র হওয়ার জন্য আন্দোলন করছেন না বরং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগই তার মূল উদ্দেশ্য। এমন অবস্থানে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সারওয়ার তুষার বলেন, “আপনি যদি আন্দোলনের শুরুতেই বলতেন আপনার দাবি উপদেষ্টার পদত্যাগ, তবে সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ হতো। কিন্তু আপনি জনগণকে এনে বলছেন মেয়র হতে চান, এখন বলছেন আর হতে চান না, এটা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা।”
তিনি অভিযোগ করেন, একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী এনসিপিকে হিজবুত তাহরিরের সাথে যুক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা তিনি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বলেও আখ্যা দেন।
সারওয়ার তুষার বলেন, “এনসিপির সাথে কোনোভাবেই হিজবুত তাহরিরের সম্পর্ক নেই। আমাদের দলের কোনো পর্যায়ের কেউ এই কর্মকাণ্ডে জড়িত না। এটা রাজনৈতিকভাবে আমাদের হেয় করার কৌশল।”
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ভেতরে থেকে গোপনীয় কাগজপত্র ফাঁস হওয়া খুবই গুরুতর বিষয় এবং একটি গণতান্ত্রিক দেশে এর ভিত্তিতে কমিশন ভেঙে দেওয়া যেতে পারে।
এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে আন্দোলনকারীদের পানি সরবরাহ করা হলেও, এনসিপির আন্দোলনের সময় তা বন্ধ রাখা হয়েছিল, যা পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের প্রমাণ।
সূত্র:https://youtu.be/UT3EikEVUCg?si=qttNXNrvbzdNsI9W
আঁখি