
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, "আসিফ মাহমুদ অনেক আগেই তার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। তাকে ঘিরে রয়েছে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ, যা তার পদে থাকার যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।"
শহিদুল বাবুল অভিযোগ করে বলেন, “আপনারা নির্বাচন কমিশন উল্টান-পাল্টান, আমাদের কিছু যায় আসে না।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনের বর্তমান গঠন হয়েছে পুরনো আইনের ভিত্তিতে, এবং এই প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলেন, “পাঁচ মাস আগে যখন নির্বাচন কমিশন গঠন হয়, তখন তারা নীরব ছিল। এখন আন্দোলনের নামে জনগণের সাড়া পাচ্ছে না বলেই এসব করছে।”
আসিফ মাহমুদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে লাভবান হওয়ার অভিযোগও তোলেন শহিদুল বাবুল। তিনি দাবি করেন, “তার বাবার নামে দ্রুত লাইসেন্স অনুমোদন, এপিএসের বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি ইত্যাদি বিষয় তাকে নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।” তিনি বলেন, “একজন আদর্শ শিক্ষকের সন্তান হিসেবে তিনি নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি।”
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “দুই সিটি কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একজন হিজবুত তাহরীর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, এ থেকেই বোঝা যায় যাচাই-বাছাই ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “আসিফ মাহমুদের নিজের লোকদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। তার হাতে এখন ওয়াসার এমডি, কর্পোরেশনের সিইও ও এলজিডি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব – তিনটি বড় পদ। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
আন্দোলনের প্রসঙ্গে শহিদুল বাবুল বলেন, “বিএনপির ডাকে লক্ষ লক্ষ মানুষ সাড়া দিলেও, এনসিপির ডাকে ১০০ জনও জড়ো হয় না। এতে স্পষ্ট, তাদের আন্দোলন জনসমর্থন পাচ্ছে না।”
সবশেষে শহিদুল বাবুল বলেন, “যদি নির্বাচনী ব্যবস্থা ও কমিশন এভাবেই থাকে, তাহলে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত হবে না। আর এভাবেই নির্বাচন হলে তা কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন কমিশন ও সরকার উভয়ের উচিত হবে জনগণের আস্থা ফেরাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”
সূত্র:https://youtu.be/szlk7ChFlCA?si=1ybGcJ3rRE7SmHEX
আঁখি