ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

৮০ লাখের রাস্তা, ইটই নেই টিকটাক!

কালিদাস রায়, নাটোর 

প্রকাশিত: ১৬:১৮, ২২ মে ২০২৫

৮০ লাখের রাস্তা, ইটই নেই টিকটাক!

ছবি: জনকণ্ঠ

নাটোরের বড়াইগ্রামে নিম্নমানের ইট দিয়ে এক কিলোমিটার এইচবিবি রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোনও ফল পাননি। এদিকে খোদ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিষেধ অমান্য করে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট। নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করায় জনসাধারণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ মাটির রাস্তাগুলো টেকসই করার লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ দ্বিতীয় পর্যায়ের আওতায় মোট ৮০ লাখ ৫৭৯ টাকা ব্যয়ে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের শিবপুর এলাকায় এক কিলোমিটার রাস্তা এইচবিবি করণ কাজ চলছে। কাজটি করছেন ঠিকাদার ফয়সাল আহমেদ শুভ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শিডিউলে এক নম্বর ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কথা থাকলেও শুরু থেকেই ঠিকাদার নিম্নমানের তিন নম্বর ইট দিয়ে রাস্তার কাজ করছেন। এছাড়া বালুর পরিমাণও কম দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা সংশ্লিষ্টদেরকে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করতে বলার পরও তারা বিষয়টি কর্ণপাত করেননি। পরে স্থানীয়রা বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তায় ব্যবহার করা ইটগুলোর প্রায় ৭৫ ভাগই মিঠা বা তিন নম্বর ইট। সাধারণ সাইকেল বা ভ্যানের চাপেই এসব ইট ভেঙে যাচ্ছে। ইটের নিচে তিন ইঞ্চি পরিমাণে বালু দেওয়ার কথা থাকলেও কোথাও এক ইঞ্চি, কোথাও দুই ইঞ্চি বালু দেওয়া হয়েছে।

কর্মরত শ্রমিকরা জানান, “আমাদেরকে ঠিকাদার যা দিয়েছে, আমরা তা দিয়েই কাজ করছি। আমাদের তো কিছু করার নাই।”

শিবপুর গ্রামের আব্দুর রহিম ও আবু সাঈদ জানান, “রাস্তায় ব্যবহার করা ইটগুলো একেবারেই নিম্নমানের। শতকরা ২০ ভাগ ইটও ভালো নেই। এছাড়া বালুর পরিমাণও কম দিচ্ছে। আমরা আপত্তি করলেও ঠিকাদার বা তার লোকজন কর্ণপাত করছে না।” ঠিকাদারের প্রতিনিধি মামুন জানান, “ইটের মান খারাপ না, কিছু লোক এমনিতেই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।”

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এমদাদুল হক জানান, “আমি নিজে গিয়ে ঠিকাদারকে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করার জন্য বলেছি। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করতে নিষেধ করেছি। তারপরও যদি খারাপ ইট দেয়, তাহলে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শহীদ

×