
ছবি :সংগৃহীত
দেশে ইন্টারনেট সেবার খরচ যুক্তিসঙ্গত ও গ্রাহকবান্ধব করতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সরকারি ও বেসরকারি আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরদের জন্য নতুন ব্যান্ডউইথ মূল্য নির্ধারণ করে ট্যারিফ ঘোষণা করেছে সংস্থাটি, যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সর্বনিম্ন প্রতি মেগাবিট ব্যান্ডউইথের দাম নির্ধারিত হয়েছে ২৩০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৯৯ টাকা। সর্বোচ্চ ১:৮ কানেকশন রেশিও ভিত্তিতে ৫ এমবিপিএস ইন্টারনেট সেবার মাসিক মূল্য হবে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৭০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস ১,১০০ টাকা।
এই হার মহানগর, জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন অর্থাৎ সব পর্যায়ে সমানভাবে প্রযোজ্য হবে।
বিটিআরসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারের মূল্য যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে আনার জন্য একটি বাস্তবসম্মত এবং গ্রাহকবান্ধব ট্যারিফ প্রণয়ন করা হয়। এই খসড়া ট্যারিফ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠানো হলে সরকার তা অনুমোদন করে।
ট্যারিফের শর্তাবলি:
বিটিআরসির লাইসেন্সধারী সব ধরনের সরকারি ও বেসরকারি আইএসপির জন্য উল্লিখিত ট্যারিফ ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে এবং প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছরের জন্য বলবৎ থাকবে। নতুন ট্যারিফ না হওয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে।
কমিশন গ্রাহক স্বার্থ ও বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী যে কোনো সময় ট্যারিফ পরিবর্তন করতে পারবে।
সেবার মান নিশ্চিত করতে প্রতিটি আইএসপিকে এ, বি, সি গ্রেড অনুযায়ী গ্রেড অব সার্ভিস বজায় রাখতে হবে।
গ্রাহক টানা ৫ দিন ইন্টারনেট সেবা না পেলে বিলের ৫০%, ১০ দিন না পেলে ২৫% এবং ১৫ দিন না পেলে ওই মাসে কোনো বিল দিতে হবে না।
সরকার অনুমোদিত সর্বনিম্ন ইন্টারনেট স্পিড ৫ এমবিপিএস রাখা হবে এবং কানেকশন রেশিও ১:৮ অনুযায়ী অন্যান্য প্যাকেজ সমন্বয়ের সুযোগ থাকবে।
অনুমোদিত ট্যারিফ চার্ট আইএসপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। অনুমোদন ব্যতীত কোনো সেবা বা প্যাকেজ চালু করলে কমিশন আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
গ্রাহকের অভিযোগ দ্রুত সমাধান করতে হবে এবং অভিযোগ ও সমাধানের তথ্য কমপক্ষে ছয় মাস সংরক্ষণ করতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উদ্যোগের ফলে দেশের সব স্তরের গ্রাহক একক মূল্যে সাশ্রয়ী ও মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পাবেন। আইএসপিগুলোকেও নির্ধারিত মান বজায় রাখতে বাধ্য করা যাবে।
সা/ই