ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

দখলচ্যুত জমি পুনরুদ্ধার মাত্র ৩ মাসে: নতুন ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’

প্রকাশিত: ০৯:৪৭, ২২ মে ২০২৫; আপডেট: ০৯:৪৮, ২২ মে ২০২৫

দখলচ্যুত জমি পুনরুদ্ধার মাত্র ৩ মাসে: নতুন ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’

ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ ও অবৈধ দখল প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার ২০২৩ সালে নতুন একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করেছে, যার নাম ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩’। এই আইনের মাধ্যমে দখলচ্যুত জমি দ্রুত ও কার্যকরভাবে পুনরুদ্ধারের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

আইনজীবী ব্যারিস্টার তাসমিয়া আঞ্জুম বলেন, ‘আগে ভূমি সংক্রান্ত মামলা সাধারণত দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতে দীর্ঘদিন ধরে চলতো। এতে সাধারণ মানুষ বিরক্ত থাকতেন। কিন্তু নতুন আইনের আওতায়, জমি অবৈধভাবে দখল বা উচ্ছেদ হলে ভূমি মালিক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করতে পারবেন এবং তিন মাসের মধ্যে দ্রুত বিচার পাওয়া যাবে।’

আইনের ধারা ৭ অনুসারে, কেউ যদি অন্যায়ভাবে জমির দখল নেয় বা দখল রক্ষা করতে বাধা দেয়, তাহলে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া, ধারা ৮ অনুযায়ী, অবৈধ দখলচ্যুত জমি পুনরুদ্ধারের জন্য মালিক বা তার প্রতিনিধি আবেদন করতে পারবেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবেদন গ্রহণ করে দ্রুত তদন্ত-সংশোধনের পর আদেশ প্রদান করবেন।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন এই আইন ভূমি দখল সংক্রান্ত দীর্ঘস্থায়ী মামলা ও বিচার জটিলতা অনেকাংশে কমাবে এবং সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচারে সাহায্য করবে।

তবে নতুন আইনের আওতায় আবেদন নিষ্পত্তির নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকলেও, এটির বাস্তবায়নে কিছু প্রশাসনিক বাধা থাকতে পারে। এই ধরনের ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আইনটিতে উল্লেখ আছে।

বর্তমানে পুরানো তামাদি আইনের ১২ বছরের সময়সীমা থাকার পরও, নতুন আইনে জমি দখল পুনরুদ্ধারের জন্য কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। ফলে জমির মালিক যেকোনো সময় এই আইনের মাধ্যমে দ্রুত প্রতিকার চাইতে পারবেন।

জমি দখল সংক্রান্ত সমস্যা কমাতে এবং মালিকদের অধিকারের সুরক্ষায় ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=q4DDY8ow8jc

রাকিব

×