ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাজারে ভেঙে গেছে সিন্ডিকেট, অর্ধেকে নেমেছে পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ২২ মে ২০২৫

বাজারে ভেঙে গেছে সিন্ডিকেট, অর্ধেকে নেমেছে পেঁয়াজের দাম

ছবি: সংগৃহীত

দেশে আদার বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩ লাখ টন হলেও উৎপাদন হয় অর্ধেকেরও কম। ফলে প্রতি বছর ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ আদা আমদানি করতে হয়, যার মধ্যে ভারত ও চায়না থেকে আমদানিই প্রধান। কোরবানির ঈদকে ঘিরে আদার চাহিদা ও বিক্রি বেড়ে যায়। তবে এ বছর খাতুনগঞ্জের বাজারে আদার পর্যাপ্ত মজুত থাকায় দাম অনেকটাই কমে এসেছে।

 

 

গত বছর কোরবানির সময় চায়না আদার দাম ছিল ২৫০-২৬০ টাকা কেজি, যেখানে এবার তা বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। ভারতীয় আদা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৭০ টাকায়। আন্তর্জাতিক বাজারে আদার দাম পড়তির দিকে থাকলেও বাংলাদেশে দাম আরও নিচে নেমেছে। অতিরিক্ত আমদানির কারণে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

এছাড়াও, বছরে প্রায় ৬ লাখ টন রসুনের চাহিদা থাকলেও এবার রসুনের দামেও মিলছে স্বস্তি। গত বছর ঈদের সময় চায়না রসুন বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে ১১৫ টাকায়। আন্তর্জাতিক বাজারে রসুনের দাম কমে যাওয়ায় আমদানিকারকরা বেকায়দায় পড়েছেন।

 

পেঁয়াজের দামও গত বছরের তুলনায় অর্ধেকে নেমেছে। গত বছর ৭০-৮০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন ৪২-৫৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজেই এবার চাহিদা পূরণ হচ্ছে, কারণ ভারতীয় পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক বেশি।

খাতুনগঞ্জের বাজারে অন্যান্য মসলার দামও কমেছে। ভারতীয় শুকনা মরিচে কেজিপ্রতি ৫০-৬০ টাকা এবং দেশি মরিচে প্রায় ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। হলুদের দাম কেজিতে ৩০ টাকা কমেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগের মত নির্দিষ্ট কিছু সিন্ডিকেটের হাতে আমদানি নির্ভর না করে এখন অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীও আমদানির সুযোগ পাচ্ছেন। এতে বাজারে প্রতিযোগিতা বেড়েছে, সরবরাহ বেড়েছে এবং স্বাভাবিকভাবেই দাম কমেছে।

 

 

ঈদকে ঘিরে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে দৈনিক লেনদেন যেখানে গড়ে প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকা, সেখানে এ মৌসুমে তা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ২,০০০ কোটি টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, সরবরাহ ও প্রতিযোগিতা অব্যাহত থাকলে ভোক্তারা সামনের দিনগুলোতেও এই সুবিধা পাবেন।

 

সূত্র:https://youtu.be/282EIRpKSVM?si=70iw6b40n3Neip9J

আঁখি

×