ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বীরগঞ্জে কাঁঠালের বাম্পার ফলন, আনন্দে মুখর চাষিরা

প্রদীপ রায় জিতু, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, বীরগঞ্জ

প্রকাশিত: ১০:২৯, ২২ মে ২০২৫; আপডেট: ১১:১২, ২২ মে ২০২৫

বীরগঞ্জে কাঁঠালের বাম্পার ফলন, আনন্দে মুখর চাষিরা

ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ

দিনাজপুরে বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দিনাজপুরের লিচু পাশাপাশি কাঁঠাল গাছে ব্যাপক ফলন লক্ষ করা গেছে।

বীরগঞ্জ উপজেলাতে বৈশাখ মাসের পর পরেই কাঁঠাল পরিপক্ব হওয়া শুরু হয়। বহু পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই কাঁঠাল এখনো হাট-বাজারে তেমন উঠতে শুরু না হলেও আর কিছুদিন পরেই পুরোদমে শুরু হবে পাকা কাঁঠাল। এ বছর বীরগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি কাঁঠাল গাছের গোড়া থেকে মগডাল পর্যন্ত কাঁঠালের ভরে গেছে।

সরেজমিনে উপজেলার পৌরসভা, নিজপাড়া, পাল্টাপুর, ভোগনগর, সাতর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে গাছে গাছে কাঁঠালে পরিপূর্ণ। প্রতিটি গাছে ৮৯ থেকে ১৪০টার বেশি পর্যন্ত ফল ধরেছে।

গ্রামাঞ্চলেও পুষ্টিগুণে ভরা সম্পন্ন এই কাঁঠাল পাকতে যদিও আর কিছুদিন বাকি রয়েছে। কাঁঠাল সাথে গ্রামাঞ্চলের কাঁচা কাঁঠালও বিভিন্ন হাট-বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে কাঁচা কাঁঠালের তরকারি খেতে অনেকেই পছন্দ করে আবার অনেক ক্রেতা কাঁচা কাঁঠাল কিনে নিয়ে যাচ্ছে। কাঁঠালের বিচি তরকারিতেও সমান জনপ্রিয় ।

কিন্তু সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যায় অধিকাংশ কাঁঠাল গাছগুলো বাগান ভিত্তিক না হলেও বাড়ির আঙিনায়, রাস্তার দু’ধারে,  খোলা জায়গায়, গাছে ঝুলে থাকা কাঁঠালের দৃশ্য অনেকের নজর কাড়ে।

পাল্টাপুর ইউনিয়নের মামুন মিয়া বলেন, “কাঁঠাল গাছে মুকুল  আসা সময়ে ঝড়-খড়া না হওয়ায়, কাঁঠালের ফলন ভালো হয়েছে।” তিনি আরো বলেন, “গবাদিপশুর খাবারের জন্য কাঁঠাল খুবই ভালো গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।”

বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আশেপাশে সর্বত্র এখন কাঁঠাল গাছগুলোতে ঝুলন্ত কাঁঠালে ছেয়ে আছে। কোন কোন আগাম জাতের কাঁঠালগুলি পাকতে শুরু করেছে। পাকা কাঁঠাল মিষ্টি গন্ধে কীটপতঙ্গরা ভিড় করছে গাছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে পাকা কাঁঠাল উঠতে শুরু করবে। 

বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রভাষক প্রশান্ত কুমার সেন বলেন, “কাঁঠাল একটি মৌসুমি গ্রীষ্মকালীন ফল। যদি এটিকে প্রক্রিয়াজাত করে সংরক্ষণের ও বিপণনের ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়, তাহলে এটি এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”

মিরাজ খান

×